ফেনীতে এক ভিক্ষুককে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ মামলার মূলহোতা মেহরাজসহ এজাহারনামীয় ২ আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।শুক্রবার অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।শনিবার আদালতের মাধ্যমে গ্রেফতারকৃত নোয়াখালীর হাতিয়ার ইউনুছপুর ফকিন্নিপাড়া গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে মো. মেহরাজ ও নোয়াখালী সদরের চরজুবলী গ্রামের মৃত আলী আহম্মদের ছেলে সালাউদ্দিন (৩৫)কে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
র্যাব জানায়, ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টার দিকে ঢাকা চট্রগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর লেমুয়া বাজার এলাকায় ভিক্ষা করছিলেন এক নারী। তখন মেহেরাজ নামে এক যুবক তাকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলে মহাসড়ক সংলগ্ন ছনুয়া ইউনিয়নের এবিএম ব্রিক ফিল্ডে নিয়ে যায়। সেখানে শ্রমিকদের থাকার কক্ষে মেহেরাজ তাকে ধর্ষণ করে। এরপর পালাক্রমে সমির, দেলোয়ার হোসেন, তারেক, রমজান আলী, বাবু, মেহরাজ, রিদনসহ কয়েকজন ওই নারীকে ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে তাকে বাসে উঠিয়ে দেওয়ার জন্য মহাসড়কে নিয়ে গেলে ওই নারীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। স্থানীয়দের সহায়তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই নারীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠান।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে আটজনকে এজাহারনামীয় ২-৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ফেনী মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা করেন।
মামলার পর থেকেই পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি ও ছায়াতদন্ত অব্যাহত রাখে র্যাব। পরে র্যাবের একটি দল ১৫ সেপ্টেম্বর অভিযান চালিয়ে সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে। সালাউদ্দিনের দেওয়া তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় র্যাব জানতে পারে গণধর্ষণের মূলহোতা পলাতক আসামি মেহরাজ ফেনীর দাগনভূঞার দিলপুর এলাকায় অবস্থান করছে।পরে ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে মেহরাজকে গ্রেফতার করা হয়।পরে তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।