ত্যাগী ও নির্যাতিত যুবদল নেতা বাহার উল্লাহ প্রকাশ বন্দুক বাহারের পাশে থাকায় ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের শিকার হচ্ছেন ফেনীর বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বাচ্চু। আসন্ন ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলকে সামনে বিএনপি নেতা বাচ্চুর বিরুদ্ধে নিজদলীয় একটি সংঘবদ্ধ চক্র ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেন বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানান, ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদ নগর ইউনিয়নের নৈরাজপুর গ্রামের হাবিব উল্লাহর ছেলে বাহার উল্লাহ প্রকাশ বন্দুক বাহার যুবদলের রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। ফলে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে বিএনপি-যুবদল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় দায়েরকৃত বিভিন্ন গায়েবি মামলার আসামিও হন বাহার।
এমন একটি মামলার এজাহারে দেখা যায়, ফেনী জেলা যুবলীগের প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক ও ফরহাদ নগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবুল মতিন কাওছার বাদি হয়ে ২৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২৫/৩০ জনকে আসামি করে ২০১১ সালের ১৪ মার্চ ফেনী মডেল থানায় ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ এনে নাশকতার মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন বাচ্চু এবং সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব শাহাদাত হোসেনের সাথে বাহার উল্লাহ প্রকাশ বন্দুক বাহারসহ বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের আসামি করে যুবলীগ নেতা কাওছার।এসব মামলার আসামি হয়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী আ.লীগ সরকার আমলে পুলিশের হয়রানির শিকার হয়ে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র পালিয়ে ছিলেন। কিন্তু ছাত্র জনতার আন্দোলনে ৫ আগষ্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে আ.লীগ সরকারের পতন হলে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে চলমান বিরোধকে কেন্দ্র করে একে অপরের বিরুদ্ধে নানা ধরনের চক্রান্তে লিপ্ত হন।
এর অংশ হিসেবে ফেনীর মহিপালে আ. লীগ নেতাকর্মীদের দ্বারা সংগঠিত গনহত্যা মামলায় যুবদলের নিবেদিত কর্মী বাহার উল্লাহ প্রকাশ বন্দুক বাহারকে আসামি করে দেওয়া হয়।পরবর্তীতে বিষয়টি বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে অবগত করা হলে মামলার বাদি আদালতে বাহারের বিষয়ে এভিডেভিট দাখিল করেন।
ইসমাইল হোসেনসহ ইউনিয়ন বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী জানান, বাচ্চু চেয়ারম্যান ও যুবদল নেতা শাহাদাতের নেতৃত্বে দলীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নে ফরহাদ নগরে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিগত দিনে মামলা হামলাসহ জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছে।এরপরেও কেউ হাল ছেড়ে দেয়নি। কিন্তু ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপি নামধারী আ.লীগের কিছু দোসর এলাকায় অবস্থান নিতে না পেরে বিএনপি নেতা বেলায়েত হোসেন বাচ্চু ও যুবদল নেতা শাহাদাত হোসেনের বিরুদ্ধে নানা চক্রান্ত ও অপপ্রচারে লিপ্ত হন।এর অংশ হিসেবে যুবদলের বাহারের জামিন পরবর্তী ফুলেল শুভেচ্ছাকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন বিএনপির কাউন্সিলকে সামনে রেখে বিতর্কিত করার জন্য জনতার নেতা বাচ্চু চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার,অপপ্রচার ও নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন।
ফেনী সদর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব শাহাদাত হোসেন জানান, বাহার যুবদলের একজন নিবেদিত কর্মী।সে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে মামলা হামলার শিকার।বাহারের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নষ্ট করার জন্য বিএনপি নামধারী এলাকার বিচ্ছিন্ন কিছু লোক পরিকল্পিতভাবে গনহত্যা মামলায় জড়িয়ে দেয়।বিষয়টি দলীয় শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে অবগত করা হয়।