ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফী হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ও বিচারকাজ দ্রুত সম্পন্ন করার লক্ষ্যে মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারী ও আশপাশের প্রায় ৩০-৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ লিপিবদ্ধ করেছে পিবিআই’র তদন্তকারী দল। এছাড়া রাফীর পরিবারের সদস্যদের সাাক্ষ্যগ্রহণ নিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করেছে দলটি। সোমবার দিনব্যাপী সোনাগাজী মাদ্রাসা ও রাফীর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে পিবিআই’র তদন্তকারী দল এসব সাক্ষ্যগ্রহণ লিপিবদ্ধ করেন। এ সময় পিবিআইয়ের চট্রগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের পরিদর্শক মো. শাহ আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলম জানিয়েছেন, মামলার বিষয়ে সাক্ষীদের সাক্ষ্য প্রদানের মতামত নেয়া হয়েছে। ন্যায় বিচারের স্বার্থে কেউ কেউ বিচারিক হাকিমের কাছে গিয়ে এই সময়ের মধ্যে সাক্ষ্য প্রদান করবে কিনা তার মতামত চাওয়া হয়েছে। কারণ দীর্ঘ সূত্রতার কারণে অনেক সময় সাক্ষীরা আদালতে গিয়ে সাক্ষী দেননা। তাই দ্রুত সময়ে সাক্ষীদের জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে।
গত ২৭ মার্চ মাদরাসার আলিম পরিক্ষার্থী রাফীকে নিজ কক্ষে ঢেকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে রাফীর পরিবার মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সিরাজ উদদৌলা কারাগারে থাকা অবস্থায় ৬ এপ্রিল রাফীকে মাদরাসার ছাদে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে মুখোশধারীরা। এ ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামী করে নুসরাতের ভাই নোমান থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার এজাহারভূক্ত আসামীসহ ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই। ১৮ জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, আবদুর রহিম শরিফ, হাফেজ আবদুল কাদের, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন্নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহাম্মদ ও অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। তাঁরা ৯ জনই রাফী হত্যাকান্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে চঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেছে।



