শহর প্রতিনিধিঃ ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবসের দাবীতে ফেনীতে শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের গণহত্যার দলিল। সামাজিক সচেতনতামূলক সংগঠন ‘ইতিবাচক’ এর সহযোগিতায় ‘যুদ্ধদলিল’ প্রকল্পের ফেনীর কো অর্ডিনেটর নাসিম আনোয়ার জাকি’র তত্ত্বাবধানে ফেনী সরকারী কলেজের মিলনায়তনে দলিলগুলো বিতরণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোশারফ হোসেন প্রমূখ।
‘যুদ্ধদলিল’ প্রকল্পের ফেনী জেলা কো- অর্ডিনেটর ও ‘ইতিবাচক’র প্রধান সমন্বয়ক নাসিম আনোয়ার জাকি বলেন, গত বছর থেকে সরকারিভাবে ২৫ মার্চকে জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। এই দিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আমরা চাচ্ছি যেন এই দিবসকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস হিসেবে সারা পৃথিবীতে পালন করা হয়, ঠিক যেভাবে ২১ ফেব্রুয়ারি আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। তবে বাকি বিশ্বকে জানানোর আগে আমাদের নিজেদের জানতে হবে, জনমত তৈরি করতে হবে।
তাই সরকারিভাবে তথ্য মন্ত্রণালয় হতে মুদ্রিত “বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র” শীর্ষক সংকলন থেকে আমরা প্রধানত বিভাগওয়ারী গণহত্যা সংশ্লিষ্ট কিছু পুস্তিকা তৈরি করেছি, যা ২৫ মার্চ সারা দেশের ৬৪ জেলায় জনগণের মাঝে বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। আমরা চাই প্রতিটি পরিবারে যেন তার নিজ জেলার গণহত্যার সরকারি দলিলপত্র থাকে। এসময় দলিল বিতরণকারী সংগঠকরা বলেন,আমাদের উদ্দেশ্যটা খুব পরিষ্কার। প্রতিটি পরিবারের কোষাগারে যেন তাঁর নিজের জেলায় সংঘটিত গণহত্যার দলিলপত্র থাকে। এই দেশের মাটিতে, নিজ জেলার মাটির লেগে থাকা রক্তের দাগ সম্পর্কে যেন সকলে একটু হলেও জানে। আমাদের লক্ষ্য মূলত পরিবার। এ কাজে সহযোগীতা কামনা করে তারা বলেন, যে যেখানে আছেন, এগিয়ে আসুন। ছাত্র, শিক্ষক, চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী, প্রবাসী, সকলকে আমাদের অনুরোধ জানাই! গণহত্যার দলিল ছড়িয়ে পড়ুক ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইলের প্রতিটি কোণায়।
এসময় ফেনী সরকারী কলেজের শিক্ষার্থীরা জানায়, এ ধরনের উদ্দ্যোগে খুশী তারা। এর মাধ্যমে অনেক তথ্য জানা যাবে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্দ্যোগ চালিয়ে নিতে অনুরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা।



