ফেনীতে কক্সবাজারগামী পিকনিকের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে ৮ জন নিহত হয়েছে।এসময় অন্তত ২১ জন যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে।বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর লেমুয়া অংশের ইউনানী তিব্বিয়া কলেজের সামনে এ ঘটনা ঘটে।আহতদের ফেনী জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এর মধ্যে ০৭ জনকে মুমুর্ষ অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে প্রাইম প্লাস নামে একটি পিকনিক বাস ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে রাজধানীর মীরপুর থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।বাসটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর লেমুয়া ইউনানী তিব্বিয়া কলেজের সামনে পৌঁছলে বৃহস্পতিবার ভোরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে দুমড়ে-মুচড়ে যায়।
এসময় ঘটনাস্থলে ৬ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়।খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে তাদের উদ্বার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।এর মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জন ও ঢাকায় নেয়ার পথে আরও ১ জনের মৃত্যু হয়।
আহতদের মধ্যে ১২ জনকে ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।বাকী ৭ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার শাহাদাৎ হোসেন (৩০) ও ঢাকার বিক্রমপুরের সুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে।এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বাকীদের পরিচয় জানা যায়নি।
আহতরা হলেন, ঢাকার মীরপুরের আসলামের পুত্র আখতার (২২), জগদাশীর পুত্র অপু (২৫), শওকত হোসেনের পুত্র ইকবাল(৩৮), মো. সেলিমের পুত্র দুলাল (২৭), সকিনা (৬৫), নারায়ণগঞ্জের আদমজী এলাকার মনোয়ার হোসেনের কন্যা আছমা (১৮), মুন্নার পুত্র ফয়সাল (২৩), সামছু উদ্দিনের পুত্র মুন্না (৫০), আজম (১৮), মো সেলিমের পুত্র দুলাল (১৩), মাদারীপুরের আলী আছমতের পুত্র রিপন (৩০), টঙ্গীর আবদুল্লা শেখের পুত্র রিপন (৪০) ।
ফেনী জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আবু তাহের পাটোয়ারী জানান, ফেনী সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দুর্ঘটনায় আহত অবস্থায় ২১জন রোগী এসেছে। এর মধ্যে ৭ জনের অবস্থা গুরুতর থাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় প্রেরণ করেছি।
ফেনী হাইওয়ে থানার সাব ইন্সপেক্টর কাউছার রহমান বলেন, নারায়নগঞ্জ থেকে কক্সবাজারগামী পিকনিক বাস লেমুয়া ইউনানী তিব্বীয়া কলেজের সামনে একটি কড়ই গাছের সাথে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলে ৬ জন নিহত হয় ও ২১ জন আহত হয়।
দ্রুতগতির কারণে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায় বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
এর আগে গত ঈদুল আযহার সময় একই এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৪ জনসহ ৯ জন প্রাণ হারান।