ফেনী শহরতলীর পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ মাথিয়ারা গ্রামের এক প্রবাসীর বাড়ীতে অজ্ঞান করে ডাকাতি করার মূল হোতা সালেহা বেগম (৪৫) কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্র জানায়, দক্ষিণ মাথিয়ারা গ্রামের প্রবাসী আবদুর রাজ্জাকের ঘরে সালেহা বেগম কৌশলে ঢুকে খাবারের সাথে নেশা জাতীয়দ্রব্য মিশিয়ে দিয়ে সরে পড়ে। গত ২০ আগস্ট রাত ১০টার দিকে গৃহকর্তা নুরজাহান বেগম, তার পুত্রবধূ ও আত্মীয়-স্বজনসহ ৬ জন নেশা জাতীয় খাবার খেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে। ডাকাতরা ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে ৮ বছরের একটি শিশুকে ঘরের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়। শিশুটি দরজা খুলে দিলে ডাকাতরা ঘরে ঢুকে আলমীরা ভেঙ্গে ২৩ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সকালে তারা ঘুম থেকে না উঠায় বাড়ীর লোকেরা এসে তাদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ২৫ আগস্ট নূরজাহান বেগম বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই নাছির উদ্দিন জানান, ৬ সেপ্টেম্বর ওমর ফারুক নামে এক ডাকাতকে গ্রেফতার করে। সে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে আলমগীর হোসেন (৩৩) ও সালেহা বেগমসহ কয়েকজনের নাম প্রকাশ করে। সালেহা বেগম তাদের সাথে ডাকাতির ঘটনায় অচেতনতার কাজ করে। ওমর ফারুকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শনিবার দক্ষিণ মাথিয়ারা গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন ও একই এলাকার আবদুর রউফের স্ত্রী সালেহা বেগমকে গ্রেফতার করে। সালেহা বেগম পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অজ্ঞান করার বিষয়টি স্বীকার ও বিভিন্ন ডাকাতির ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। ওই মামলায় তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল রবিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়। এ মামলায় এ পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
ফেনী মডেল থানার ওসি মো: আলমগীর হোসেন তাদেরকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।