মুফতি হারুন আল কাসেমীঃ আজকাল রমজানকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি গ্রহণ করে না মুসলমান। অথচ রমজান যে মূল্যবান ও মর্যাদাপূর্ণ মাস কোনো মুসলমান অস্বীকার করতে পারবে না।রাব্বুল আলামিন রমজান মাসেই নাজিল করেছেন পবিত্র কোরআন, যাতে মানুষ ন্যায়-অন্যায়, ভালো-মন্দ শাস্তি ও পুরস্কারের পার্থক্য করতে পারে। যাতে রয়েছে হেদায়েতপ্রাপ্তির আহ্বান (সূরা বাকারা-১৮৫)।
প্রশ্ন হতে পারে মানবজাতির কল্যাণ-হেদায়েতের সঙ্গে রমজানের সম্পর্ক কী? আল্লাহর সৃষ্টির সেরাজীব হচ্ছে মানুষ, স্রষ্টা যাদের সৃষ্টি করেছেন তাদের কাছে তার কিছু পাওনা আছে।তারই প্রাপ্যতা কীভাবে সৃষ্টিকুল আদায় করবে তার নির্দেশনাসহ মানুষ কীভাবে তার ব্যক্তি, পারিবারিক, সমাজ ও রাষ্ট্র জীবন পরিচালনা করবে তার বিশদ বিবরণ দায়বদ্ধতা পুরস্কার-নেয়ামতপ্রাপ্তির ঘোষণা কোরআন পাকে আছে।
বান্দা যেন হারাম ছেড়ে হালালকে গ্রহণ এবং শাস্তিকে ভয় করে শান্তিকে গ্রহণ করতে পারে। পৃথিবীর সব নেয়ামত তুচ্ছ মনে করে মানুষ সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার এবং তার জৈবিক চাহিদার লোভ পূরণ থেকে বিরত থাকে।
এ মাসে একজন রোজাদারকে কেউ শত লোভ দেখিয়েও আহার করাতে পারবে না, এমনকি রোজাদারের কণ্ঠনালি শুকিয়ে মৃত্যুর ঘণ্টা বেজে উঠলেও সে হুঁশ থাকতে ইফতারির সময় না হওয়া পর্যন্ত একফোঁটা পানি পান করবে না।
পৃথিবীর সব কাজের তদারকি আছে, আছে পাহারাদার; কিন্তু রোজার ক্ষেত্রে রোজাদারের পেছনে কোনো পাহারাদার নেই। এখানে সে নিজেই নিজের পাহারাদার। এটাই হচ্ছে আল্লাহ ভীতির সেরা নিদর্শন।
দারুল উলুম দেওবন্দ, ভারত