ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় আসামি পক্ষের যুক্তিতর্ক চলছে।বুধবার ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন আসামি পক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ।
তিনি আদালতকে জানিয়েছেন, রাফী হত্যা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে তদন্তকারী সংস্থা পিবিআইয়ের শিখানো ত্রুটিপূর্ণ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ছাড়া আর কোন প্রমাণ নেই।
আদালতে যুক্তি দেখিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন,আসামি ইমরান হোসেন মামুন ১ এপ্রিল আলিম পরিক্ষার সফলতা কামনায় দোয়া নিতে কারাগারে গিয়ে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার সাথে স্বাক্ষাত করে।এটির কারনে তাকে হত্যার পরিকল্পনার আসামি করা হয়।অথচ তার বিরুদ্ধে পরিকল্পনায় অংশ নেয়ার কোন প্রমাণ দিতে পারেনি রাষ্ট্রপক্ষ।
এ সময় আইনের বিভিন্ন দিক ও যুক্তি এবং রেফারেন্স আদালতে তুলে ধরেন তিনি।
আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম মিন্টু,ফরিদ উদ্দিন খান নয়ন,গিয়াস উদ্দিন নান্নু উপস্থিত ছিলেন।
১১ সেপ্টেম্বর থেকে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুরু হয়।
গত ২৮ মে ফেনীর সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো: জাকির হোসাইনের আদালতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ এসএম সিরাজ উদ-দৌলা (৫৭), নুর উদ্দিন (২০), শাহাদাত হোসেন শামীম (২০), কাউন্সিলর ও সোনাগাজী পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাকসুদ আলম ওরফে মোকসুদ কাউন্সিলর (৫০), সাইফুর রহমান মোহাম্মদ জোবায়ের (২১), জাবেদ হোসেন ওরফে সাখাওয়াত হোসেন (১৯), হাফেজ আব্দুল কাদের (২৫), আবছার উদ্দিন (৩৩), কামরুন নাহার মনি (১৯), উম্মে সুলতানা ওরফে পপি ওরফে তুহিন ওরফে চম্পা/শম্পা (১৯), আব্দুর রহিম শরীফ (২০), ইফতেখার উদ্দিন রানা (২২), ইমরান হোসেন ওরফে মামুন (২২), সোনাগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি রুহুল আমিন (৫৫), মহিউদ্দিন শাকিল (২০) ও মোহাম্মদ শামীম (২০) কে আসামী করে ৮০৮ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কর্মকর্তারা। ৩০ মে বিচারিক হাকিম জাকির হোসাইন অভিযোগপত্রসহ মামলার নথি ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে পাঠিয়ে দেন। গত ১০ জুন মামলাটির অভিযোগপত্র আদালতে গ্রহণ হয়। ২০ জুন একই আদালতে আসামীদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে। ২৭ জুন মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।