ফেনী
বুধবার, ২২শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ভোর ৫:৩৫
, ২৯শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ফেনীতে বিসর্জনে শেষ হলো দূর্গাপূজা

ফেনীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হলো সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজা। মন্ডপে মন্ডপে একদিকে বিদায়ের সুর অন্যদিকে উৎসবের আমেজ। আনন্দ-বেদনা ও উৎসবের আবহে দূর্গাকে বিদায় জানান ভক্তরা। অসূর বধ ও সকল অকল্যাণ দূর করে দেবী ফিরে গেছেন কৈলাসে। যাওয়ার সময় ভক্তদের জন্য রেখে যাচ্ছেন সুখ, সমৃদ্ধি ও আর্শীবাদ। সিঁদুর খেলাসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে দূর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।

মঙ্গলবার বিকাল ৪টা থেকে ফেনী শহরসহ আশপাশের এলাকার বিভিন্ন মন্ডপ থেকে প্রতিমাগুলো নিয়ে আসা হয় বিভিন্ন যানবাহনে কালিপাল দশমী ঘাটে। এখানে বিসর্জনের পূর্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী।

ফেনী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রাজিব খগেশ দত্তের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীলের সঞ্চালনায় বিজয়ার অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মো. গোলাম জাকারিয়া, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আতেয়ার রহমান, ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রহমান বিকম, ফেনী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাসরিন সুলতানা, ফেনী পৌর মেয়র হাজী আলাউদ্দিন, ফেনী মডেল থানার ওসি মো. আলমগীর হোসেন, পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এডভোকেট প্রিয়রঞ্জন দত্ত।

এ সময় ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল, সোনাগাজী পৌর মেয়র এড. রফিুকুল ইসলাম খোকন, ফেনী সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহীদ খোন্দকার, ফেনী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, ডিবি পুলিশের ওসি রঞ্জিত বড়ুয়া, জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার আবদুল ওয়াজেদ, মো. মনিরুজ্জামান, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিপুল শর্মা, গণেশ ভৌমিক, সদস্য শম্ভু বৈষ্ণব, সদর উপজেলা পূজা কমিটির সভাপতি তপন বসাক, সাধারণ সম্পাদক সরোজ চক্রবতী, পৌর পূজা কমিটির সভাপতি রাখাল চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুরঞ্জিত নাগসহ হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছাড়াও জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ বিভিন্ন বয়সী মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

ফেনীর ১৪০টি পূজা মন্ডপে দশমীর বিহিত পূজার পর দেবীর চরণ ছুঁয়ে শেষবারের মত আলিঙ্গন করেন ভক্তরা। পূজা শেষে দর্পণ বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় দশমীর পূজা-অর্চনা। নানা উপাচারে পর ঘট বির্সজন করেন ভক্তরা। এরপর শুরু হয় সিঁদুর খেলা। দুঃখ-দুর্দশা-বিপদ-আঘাত অতিক্রম করে তিমির বিনাশী হওয়ার প্রার্থনা জানান ভক্তরা।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo
error: Content is protected !!