ফেনী
বৃহস্পতিবার, ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ৪:২০
, ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনাম:

দণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামিকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর

ফেনীর সোনাগাজীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১২ আসামিকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ফেনী শহরতলীর রানীরহাটস্থ জেলা কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের ফেনী জেলা কারাগার থেকে স্থানান্তর করা হয়।

স্থানান্তর করা আসামিরা হলেন-মাদরাসার (বহিস্কৃত)প্রভাষক আফছার উদ্দিন,হাফেজ আব্দুল কাদের,শাহাদাত হোসেন শামিম, নুর উদ্দিন, কাউন্সিলর মকসুদুল আলম, মো.শামিম, ইমরান হোসেন মামুন, ইফতেখার হোসেন রানা, শাখাওয়াত হোসেন জাবেদ, সাইফুর রহমান মোঃ যোবায়ের, আব্দুর রহিম শরিফ ও মহি উদ্দিন শাকিল।

ফেনী জেলা কারাগারের জেলার দিদারুল আলম জানিয়েছেন, কারা মহাপরিদর্শকের (আইজি প্রিজন) নির্দেশে রাফী হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত ১৬ আসামির মধ্যে ১২ জনকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে।
অপর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রুহুল আমিন, সিরাজ উদদৌলার বিচারাধীন মামলা থাকায় বুধবার ফেনীর আদালতে হাজিরা শেষে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগার স্থানান্তর করা হবে।একইদিন কামরুন নাহার মনি ও উম্মে সুলতানা পপিকে চট্রগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।

এদিকে আসামিদের কুমিল্লা কারাগারে স্থানান্তরের খবর পেয়ে তাদের স্বজনরা মঙ্গলবার সকাল থেকে ফেনী জেলা কারাগারের প্রধান ফটকের পাশে জড়ো হন।সকাল ১০টার দিকে দণ্ডপ্রাপ্তদের বহন করা প্রিজনভ্যানটি কারাগারের ফটক থেকে বের হওয়ামাত্রই আসামিদের স্বজনরা সেটি ঘিরে আহাজারি করতে থাকেন। এসময় পুলিশ ও কারারক্ষীরা তাদের সামলাতে হিমশিম খেতে হয়।

ফেনী জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ রফিকুল কাদের বলেন,যেসব আসামির দীর্ঘমেয়াদি শাস্তি ও মৃত্যুদণ্ড হয় তাদের জেলা কারাগারে না রেখে নিরাপত্তাজনিত কারণে কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর জন্য কারাবিধিতে নির্দেশনা রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের পাঠানো হচ্ছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় কারাগারগুলোতে জনবল ও কনডেম সেলের সংখ্যা বেশি। তাদের পরিচালনার জন্য যা যা প্রয়োজন সব সেখানে রয়েছে। আর ফেনী জেলা কারাগারে কনডেম সেল ও ফাঁসির কোনো মঞ্চ নেই কিন্ত কেন্দ্রীয় কারাগারে সব রয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৬ এপ্রিল সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষা দিতে গেলে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করেন মুখোশধারীরা। এতে অস্বীকৃতি জানালে ওই মাদ্রাসার ছাদে নিয়ে রাফীর হাত বেঁধে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় অধ্যক্ষ সিরাজের অনুসারীরা। মারাত্মক দগ্ধ রাফীকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হলে ১০ এপ্রিল রাতে মারা যান সাহসীকন্যা রাফী।
২৪ অক্টোবর আলোচিত এ মামলায় অভিযুক্ত ১৬ আসামিরই ফাঁসির আদেশ দেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশীদ।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo
error: Content is protected !!