প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণকারী ফেনীর সেই আজিজ আল ফয়সাল প্রকাশ ঝন্টুর স্ত্রী হিসাবে স্বীকৃতি পেতে দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী।
২১ সেপ্টেম্বর সকালে ফেনী প্রেসক্লাবের অস্থায়ী মিলনায়তনের ব্যানারে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী লিখিত বক্তব্যে এ দাবি জানান।
এসময় কলেজ ছাত্রী জানিয়েছেন, দুই বছর আগে ফেনী শহরের ডাক্তারপাড়া হাজী ইমাম বক্স রোড এলাকার মনিরুল হকের ছেলে আজিজ আল ফয়সাল প্রকাশ ঝন্টুর সাথে সিন্দুরপুরের বাসিন্দা ফেনী সরকারি কলেজের ছাত্রীর পরিচয় হয়।এরপর উভয়ের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
একপর্যায়ে বিয়ের করার আশ্বাস দিয়ে তাকে নিয়ে কক্সবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে রাত্রি যাপন করে লম্পট ফয়সাল।পরে বিয়ে করতে টালবাহানা করায় বিয়ে করে ঘরে তুলে নিতে ফয়সালকে অনুরোধ জানায় এ ভুক্তভোগী ছাত্রী। কিন্তু বিয়ে না করার জন্য কলেজ ছাত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোেগ সাজিয়ে ২০২০ সালের ৩ মে ফেনী মডেল থানায় অভিযোগ দেয় চতুর এই যুবক। পরে পুলিশকে ম্যানেজ করে কলেজ ছাত্রীকে থানায় আটক করায় ফয়সাল।ওই দিন সন্ধ্যায় (৮ মে) থানার সাবেক ওসি আলমগীর হোসেন কলেজ ছাত্রীর সাথে কথা বলে উভয়ের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের নানা ভিডিও, ছবি ও কল রেকর্ড দেখে ফয়সালকে দারোগার মাধ্যমে থানায় ডেকে এনে আটক করে।যার সিসিটিভি ফুটেজ ও ছবি রয়েছে। ৯ যে দুপুরে উভয় পরিবারের সদস্যরা বৈঠক করে কিছুদিনের মধ্যে কলেজ ছাত্রীকে বিয়ে করে ঘরে তোলার শর্তে সমঝোতার মাধ্যমে থানা থেকে সন্ধ্যার দিকে মুক্তি পায় ফয়সাল।
ভুক্তভোগী এ কলেজ ছাত্রী সংবাদ সম্মেলনে আরো বলেন, শর্ত মোতাবেক বিয়ে না করে উল্টো হুমকি দেয় ফয়সাল।বিষয়টি ফয়সালের নিকট আত্মীয়দেরকে জানিয়েও কাজ হয়নি।তাই সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে তাকে বিয়ে করার দাবি জানান।এরপরেও তাকে বিয়ে না করলে ফয়সালের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার হুমকি দেয় ভুক্তভোগী এ ছাত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে কলেজ ছাত্রীর পরিবারের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত থাকলেও ছাত্রীর ভবিষ্যৎ চিন্তা করে তারা ক্যামেরার সামনে আসেননি।
এদিকে এলাকাবাসী সূত্র জানান,ফয়সাল প্রকাশ ঝন্টুর বিরুদ্ধে এক নারী ভাড়াটিয়াকে উত্যক্ত করা,আরবি প্রাইভেট পড়ানোকালে কোমলমতি মেয়েদের প্রতি কুনজর দেওয়া,সরকারি জায়গা দখল করে দোকান নির্মান করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া ও অর্থ আত্নসাত এবং এসএসসি পাশ না করেও অনার্স-মাস্টার্স পাশ দাবি করে প্রতারণা করাসহ নানা ঘটনা রয়েছে।
এছাড়া ফয়সালের বিরুদ্ধে নিজেকে কখনো ছাত্রলীগের একনিষ্ঠ কর্মী দাবি করার পাশাপাশি জেলা আওয়ামী লীগ নেতার ভাতিজা পরিচয়েও সরকার অফিস আদালত ও জনপ্রতিনিধিসহ আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতাদের কাছ থেকে নানা সুযোগ সুবিধা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।