ফেনী
শুক্রবার, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৭:১৯
, ১৩ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

গরমে ঘর ঠান্ডা রাখে যেসব গাছ

গরম এখন চরমে। আম-কাঠালের মৌসুমে বৃষ্টির দেখা মিললেও গরম কমেনি। এসিতে অফিস সেরে বাসে গরম, বাসায় গিয়ে ফ্যানের নিচেও গরম। ঘর যেন ঠান্ডাই হয় না। তবে বিভিন্ন গবেষণা বলছে, কিছু ইনডোর প্লান্ট আছে যা প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে ঘরকে ঠান্ডা রাখে। একই সঙ্গে ঘরের বাতাসে আর্দ্রতা যোগ করে।

গ্রীষ্মের এমন কয়েকটি ইনডোর প্ল্যান্ট আছে যা আপনার ঘরকে শীতল রাখবে। যার প্রায় সবগুলো বাংলাদেশের বাজারেও মিলবে। ঘরকে সুন্দরের পাশাপাশি এসব শীতলও রাখে।

উইপিং ফিগ: প্রস্বেদনের কারণে উইপিং ফিগ গাছের পাতা থেকে পানি ঝরে। পাতার পানি ঝরার কারণে বাতাসে আর্দ্রতা তৈরি হয়। তাই ঘরে রাখলে তাপমাত্রা যেমন শীতল থাকে তেমনি দেখতেও খুব সুন্দর। প্রচুর পাতা থাকার কারণে বাতাসের ভারী ধাতুও দূর করে।

স্নেক প্ল্যান্ট: সৌন্দর্য বর্ধন ও নানা উপকারের কারণে বাড়িতে এখন অনেকেই স্নেক প্ল্যান্ট রাখেন। বিশেষ করে এই গাছ লিভিংরূম ও বেডরুমের জন্য উপযুক্ত। গাছটি অক্সিজেন শোষণ করে না। বরং অক্সিজেন ছেড়ে ঘরকে শীতল ও সতেজ রাখে।

মানি প্ল্যান্ট: বাতাস বিশুদ্ধ করতে হিউমিডিফায়ার হিসেবে গোল্ডেন পোথোস বা মানি প্ল্যান্ট খুবই কার্যকর। মানি প্ল্যান্ট বাতাস থেকে একাধিক বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে পারে। ঘরের ভেতরে থাকা নানা রকম দূষিত পদার্থ, যেমন-ফরমালডিহাইড, বেনজিন, জাইলিন এবং কার্বন মনোক্সাইড দূর করে ঘরকে সতেজ রাখে।

স্পাইডার প্লান্ট: খুব অল্প পরিশ্রম আর সহজেই ঘরের ভেতরে এই গাছ বাঁচে। গাছটি প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে বাতাস পরিশুদ্ধ করে, কমিয়ে দেয় ঘরের উষ্ণতা। পাশাপাশি বাতাসে উপস্থিত ক্ষতিকর দূষিত পদার্থ শোষণ করে নেয়।

চাইনিজ এভারগ্রিন: গাছটি বাতাসের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে বাতাস পরিশুদ্ধ করার জন্য সুপরিচিত। এই গাছ অনেকগুলো একসঙ্গে রাখলে নিজস্ব বায়ুমণ্ডলীয় বাস্তুতন্ত্র তৈরি করতে পারে। এর অনেকগুলো জাত রয়েছে।

এরিকা পাম: এরিকা পাম একটু বড় আকারের একটি ইনডোর প্ল্যান্ট। এটি তাল গাছের মতোই দেখতে। এরিকা পাম এক দিকে ঘর ঠান্ডা রাখে, আবার দেখতেও ভাল লাগে। শুধু বাড়ি নয়, এই গাছটি হোটেল, অফিস এবং অন্যান্য উন্মুক্ত স্থানে সাজাতেও ব্যবহৃত হয়।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo
error: Content is protected !!