মন্দের ভালো’ বলে একটি কথা আছে। ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজলের ফিরে আসাটা অনেকেই দেখছিলেন মন্দের ভালো হিসেবে। বলা হচ্ছিল, তাঁর ফিরে আসাটা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের উপহার। কিন্তু সেই অনুভূতিটাও বেশিক্ষণ থাকেনি, থাকতে দেওয়া হয়নি।
নিখোঁজের ৫৪ দিন পর ফটোসাংবাদিক কাজলের সন্ধান যেদিন পাওয়া গেল, সেদিন বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। তাই রোববার সকাল থেকে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বললেন, এটা বিশেষ দিবসের বড় উপহার। কিন্তু সেই উপহারের ওপর লেপ্টে দেওয়া হলো কালি। কাজলের হাত পিছমোড়া করে হাতকড়া পরানো হয়েছে। সেই ছবিতে এখন সয়লাব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। অনেকে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলের ছবি পরিবর্তন করে হাতকড়ার ছবিটি দিয়েছেন।
এখন পর্যন্ত এটা স্পষ্ট যে কাজল কাউকে খুন করেননি বা করার চেষ্টা করেননি। তাঁর বিরুদ্ধে কেউ ধর্ষণের অভিযোগ তোলেননি। তিনি জঙ্গি নন, চুরি-ডাকাতি করেননি। রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করেননি। এসব বড় অপরাধ করলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ধারায় তিনটি মামলা করার পর ৫৪ ধারায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখাতে হতো না। তারপরও কাজলের অপরাধের মাত্রা কতটুকু, কত বড় অন্যায় তিনি করেছেন—এসবের বিচার তো হবেই। কাজল অন্যায় করলে তাঁর বিচার হোক, যেমনটি লাখ লাখ মানুষের বিচার হয়। তাই বলে হাত পিছমোড়া দিয়ে হাতকড়া পরাতে হবে? এর মাধ্যমে নেপথ্যের কুশীলবেরা কী বার্তা দিতে চাইলেন সাংবাদিক সমাজকে?
এ ঘটনায় কোনো কোনো ব্যক্তির হয়তো লাভ হতে পারে, কিন্তু ক্ষতিটা সরকারের। আর ভাবমূর্তি–সংকট বাড়বে পুলিশ বাহিনীর, শনিবার পর্যন্ত যে বাহিনীর প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশ বা ৭৪১ সদস্য মানবিক সেবা দিতে গিয়ে করোনা মহামারিতে আক্রান্ত, এ পর্যন্ত মারা গেছেন পাঁচজন।
এখন পর্যন্ত ওই ফটোসাংবাদিকের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা হয়েছে। গত ৮ মার্চ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে শেরেবাংলা নগর থানায় কাজলসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মাগুরা-১ আসনের সাংসদ সাইফুজ্জামান শিখর। মানবজমিনের প্রধান সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীসহ ৩২ জনের বিরুদ্ধে করা ওই মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, ২ মার্চ দৈনিক মানবজমিন পত্রিকা ‘পাপিয়ার মুখে আমলা, এমপি, ব্যবসায়ীসহ ৩০ জনের নাম’ শীর্ষক সংবাদ পরিবেশন করে। এ প্রতিবেদনে ইঙ্গিতমূলকভাবে কয়েকজন সংসদ সদস্যের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ২৫ থেকে ৩০ জনের নামসহ একাধিক তালিকা ছড়িয়ে দেওয়া হয়, যাতে সংসদ সদস্য, সরকারি কর্মকর্তাসহ সাংসদ সাইফুজ্জামান শিখরের নাম রয়েছে। ওই মামলায় উল্লেখ করা আসামিদের একজন শফিকুল ইসলাম, যাঁর ফেসবুক আইডি থেকে খবর ও তালিকা শেয়ার দেওয়া হয়।
এরপর ১০ মার্চ থেকে নিখোঁজ ছিলেন কাজল। প্রায় এক মাস পরে জানা যায়, নিখোঁজের পরদিন ১১ মার্চ যুব মহিলা লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীমা রহমান তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কাজলের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করে রেখেছিলেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হাজারীবাগ থানায় তৃতীয় মামলাটি করে রাখেন যুব মহিলা লীগের নেত্রী ইয়াসমিন আরা ওরফে বেলী। গত শনিবার বেনাপোল বন্দর থানায় পাসপোর্ট আইনে কাজলের বিরুদ্ধে চতুর্থ মামলা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয়, ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় পাসপোর্ট দেখাতে না পারায় পাসপোর্ট আইনে তাঁর বিরুদ্ধে চতুর্থ মামলাটি হয়েছে। ওই মামলায় রোববার জামিনও পান কাজল, কিন্তু তারপরও পুলিশের সর্বশেষ হাতিয়ার ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বেনাপোল বন্দর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন খান মনে করেন, সাংবাদিক কাজলের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সোমবার বিকেলে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, আসামিকে হাতকড়া পরানোর বিষয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশনা আছে। নারী ও শিশু ছাড়া যেকোনো আসামিকে হাতকড়া পরানো যায়। বিশেষ করে দূরে আসামি আনা–নেওয়ার ক্ষেত্রে হাতকড়া পরাতে হবে। এ ছাড়া কোনো কোনো ক্ষেত্রে বিষয়টি বিবেচনার ওপর নির্ভর করে। সাংবাদিক কাজলের ক্ষেত্রে হাতকড়া পরানোর বিষয়টি আইনের মধ্যে হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।
একজন সাধারণ ফটোসাংবাদিকের জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের এই যুদ্ধ দেখে তাঁকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবেই মনে হচ্ছে।নইলে রাষ্ট্রটাকে কেন দাঁড় করানো হবে এমন একজন নাগরিকের বিরুদ্ধে। কাজলের ছেলে মনোরম পলক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, যে কিনা বন্ধুদের নিয়ে দুই মাস ধরে বাবার সন্ধান চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন, নানা কর্মসূচি পালন করেছেন তাঁরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করা সম্ভাবনাময় তরুণেরা কী শিখবে এই ঘটনার পরম্পরা থেকে।
২০১৫ সালে সাংবাদিক প্রবীর শিকদারকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় গ্রেপ্তার করে হাতকড়া পরানো হয়েছিল।প্রভাবশালীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে প্রতিবাদের ঝড় উঠলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। বলা হয়, ৫৭ ধারা তুলে দেওয়া হবে। কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তি আইনটির নাম পাল্টে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে, আর ৫৭ ধারার বদলে আরও কঠোর-কঠিন ধারা যুক্ত করা হয়েছে। নাগরিক সমাজ, মানবাধিকারকর্মীরা একদিকে এই আইনের কড়া সমালোচনা করছেন, অন্যদিকে আইনটি অপপ্রয়োগের অনেক দৃষ্টান্ত ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছে। আইনটি ঘিরে বড় আপত্তি ছিল, এর অপপ্রয়োগ হবে। সেই আশঙ্কাই দিনে দিনে সত্য হচ্ছে।
গত ২৭ এপ্রিল রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের (আরএসএফ) প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৫ মার্চ জরুরি ছুটি শুরুর পর বাংলাদেশে মূলত ত্রাণ তছরুপের সংবাদ সংগ্রহ বা প্রকাশের জের ধরে অন্তত নয়জন সাংবাদিক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে ছয়জনের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া নরসিংদীতে পুলিশের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তিন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে গত শুক্রবার।
শারীরিক প্রতিবন্ধী প্রবীর শিকদারকে হাতকড়া পরানোর ঘটনা নিয়ে সমালোচনা থিতু না হতেই ২০১৬ সালে গাইবান্ধায় পুলিশের গুলিতে আহত তিন সাঁওতালকে হাতকড়া পরিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ওই বছরের ১৪ নভেম্বর আদালত চিকিৎসাধীন অবস্থায় আটক তিন সাঁওতালের (চরন সরেন, বিমিল কিছকু ও দিনজেন টুডু) হাতকড়া খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে তাঁদের হাতকড়া পরানো কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
২০১৭ সালে আবারও আলোচনায় আসে হাতকড়া। ওই বছরের ২৬ মে ভোরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বাসের ধাক্কায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। এর প্রতিবাদে সড়ক অবরোধে অংশ নিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া ৪২ জনের একজন ছিলেন নাজমুল। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তাঁর বিছানার সঙ্গে হাতকড়া দিয়ে তাঁকে আটক রাখা হয়। এমনকি খাবারের সময়ও হাতকড়া খুলে দেওয়া হয়নি। এই খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হলে ২০১৭ সালের ২৯ মে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। ২০১৮ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্ট রায় দেন যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের হাতকড়া পরানোর ক্ষেত্রে আইনের অপব্যবহার করা যাবে না। রায়ে হাতকড়া পরানোর ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্রসচিব ও পুলিশের আইজির প্রতি সতর্কতামূলক নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল। একই বছর বরিশালে বেসরকারি টেলিভিশন ডিবিসির সাংবাদিক সুমন হাসানকে হাতকড়া পরিয়ে মারধর করা হয়।
গত বছরের জানুয়ারিতে ইংরেজি দৈনিক ঢাকা ট্রিবিউনের খুলনা প্রতিনিধি মো. হেদায়েৎ হোসেন মোল্লাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা এক মামলায় গ্রেপ্তারের পর হাতকড়া পরিয়ে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এ ছাড়া গত বছরের আগস্টে দুই শিশুকে হাতকড়া পরানোর ঘটনায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। মামলার আসামি শিশুদের গাজীপুর থেকে চট্টগ্রামে হাজিরার জন্য নেওয়ার সময় হাতকড়া পরানো হয়েছিল।
সর্বশেষ গত ১২ এপ্রিল বগুড়ায় দুই টিভি সাংবাদিককে দায়িত্ব পালনকালে পুলিশ হাতকড়া পরিয়ে সদর থানায় আটকের পর মুক্তি দিয়েছে। একাত্তর টিভির বগুড়া প্রতিনিধি শাহজাহান আলী ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের জয়পুরহাট প্রতিনিধি মাজেদুর রহমান এই লাঞ্ছনার শিকার হন।
মানবাধিকারকর্মীরা বলেছেন, এমন আচরণ অমানবিক, নিষ্ঠুর ও অসম্মানজনক, যা আইন সমর্থন করে না। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি যদি পালানোর চেষ্টা না করে, তাহলে পুলিশের হাতকড়া ব্যবহার করা যৌক্তিক নয়। সাংবাদিক কাজলের বেলায় হাতকড়ার ব্যবহার দেখে বিশিষ্ট নাগরিকদের অনেকেই বিচলিতবোধ করছেন।
তথ্য কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক গোলাম রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এভাবে একজন সাংবাদিক কেন, যেকোনো নাগরিককে হাতকড়া পরানো অনভিপ্রেত ও নিন্দনীয়। সাংবাদিক কাজল কোথায় গেলেন বা তাঁকে কে নিয়ে গেল, কীভাবে তাঁকে পাওয়া গেল—এসব রহস্যের অনুসন্ধান করাটা ছিল জরুরি। কারণ, মানুষ এর পরিষ্কার জবাব জানতে চায়। সেসব না করে বিচারের আগেই তাঁকে দণ্ড দেওয়া হলো, এটা দুঃখজনক ঘটনা।
হাতকড়া পরানোর ঘটনায় বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের মিলটা বেশি। ভারতে কিন্তু এমন ঘটনা বিরল। ৩৫ বছর ভারতে সাংবাদিকতা করছেন, এমন একজনের কাছে জানতে চাই হাতকড়া বা ডান্ডাবেড়ি পরানোর ঘটনা সেখানে কেমন ঘটে। জ্যেষ্ঠ ওই সাংবাদিক জানালেন, অনেক আগে দু-একটা ঘটনা ঘটেছে। গত ১০-১৫ বছরে এমন ঘটনার কথা মনে পড়ে না।
প্রত্যেক নাগরিকের আত্মসম্মান আছে। সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, পুলিশ—যিনিই হোন না কেন, জনসমক্ষে অসম্মান বা হেয় করার এখতিয়ার কারও নেই। কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউরের ৫০ ধারায় বলা হয়েছে, যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তাকে আটক রাখতে প্রয়োজনের বেশি ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না।
আসলে হাতকড়া, ডান্ডাবেড়ি ও মোটা রশি দিয়ে আসামি বাঁধার বিষয়টি ঔপনিবেশিক আমলের। স্বাধীন দেশে অনেক আইনকানুন ও বিধিবিধান হয়েছে। কিন্তু নির্যাতনের ওই সব কৌশল থেকে আমরা বের হতে পারিনি।
সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহদীন মালিকের মতে, হাতকড়া পরানোসহ নির্যাতন ও নাগরিককে অসম্মানের বিষয়ে আপিল বিভাগের অনেক রায় ও পর্যবেক্ষণ রয়েছে। একটি আদেশেও কিন্তু বলা হয়নি যে এ ধরনের কাজ আইনসম্মত বা বিধিসম্মত। তারপরও এগুলো চলছে। তাঁর মতে, কিছু ঘটনা গণমাধ্যমে এলে হইচই হয়। কিন্তু চোখের আড়ালে এমন অসংখ্য ঘটনা ঘটতেই থাকে। ড. শাহদীন মালিক মনে করেন, ফৌজদারি বিচারব্যবস্থা পরিবর্তন করতে নাগরিক সমাজের চাপ প্রয়োজন ছিল। কিন্তু সেই চাপ আমরা দিতে পারেনি। এর দায় গণমাধ্যমের, মানবাধিকার সংগঠনের এবং নাগরিক সমাজের।
এখনকার সময়টা অন্য রকম, যখন সবাই নিজে বাঁচার চেষ্টা করছে, অন্যকে বাঁচাতে একরকম যুদ্ধ করছে।করোনা মহামারির এই সময়ে এমন একটি নাটকীয় ঘটনা বড়ই বেমানান। চারদিকে মৃত্যু, শোক আর ত্রাণের জন্য অপেক্ষা। সরকারের নানামুখী চেষ্টা ও প্রণোদনা এবং বেসরকারি বহু উদ্যোগ দৃশ্যমান। মানবিক ও প্রাকৃতিক এই বিপর্যয়ের মধ্যে একজন সাধারণ নাগরিককে নিয়ে এত টানা-হ্যাঁচড়া করাটা কার ভালো লাগবে, ভারত থেকে অনুপ্রবেশের আষাঢ়ে গল্প কোন পাগলেই–বা বিশ্বাস করবেন, তাঁকে খুঁজতে ইচ্ছা হয়।
শরিফুজ্জামান, হেড অব রিপোর্টিং, প্রথম আলো
sharifuzzaman@prothomalo.com