আন্তর্জাতিক ডেস্ক-আনন্দ শোভাযাত্রানেদারল্যান্ডসে ইউনেসকো কর্তৃক পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ দালিলিক ঐতিহ্য হিসেবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের স্বীকৃতি অর্জন উদ্যাপন করা হয়েছে। দেশটির রাজধানী দ্য হেগের বাংলাদেশ দূতাবাসে গত শনিবার (২ ডিসেম্বর) প্রবাসী বাংলাদেশ কমিউনিটিকে সঙ্গে নিয়ে এই স্বীকৃতি যথাযথ মর্যাদা ও আনন্দঘন পরিবেশে উদ্যাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে নেদারল্যান্ডসে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের পরিবারের সদস্যসহ উপস্থিত ছিলেন।
আনন্দ শোভাযাত্রাএই স্বীকৃতি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর বঙ্গবন্ধুর ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটির ভিডিও ক্লিপ প্রদর্শন করা হয়। আলোচনার শুরুতে আওয়ামী-লীগের নেদারল্যান্ডস শাখার নেতারা ও কমিউনিটির সদস্যরা বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তারা বঙ্গবন্ধুর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং কীভাবে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বে বাঙালি জাতির সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছিল তা তুলে ধরেন। তারা বিশ্ববাসীর কাছে আরও ব্যাপকভাবে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ ও প্রকাশনার অনুরোধ জানান।
নেদারল্যান্ডসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শেখ মুহম্মদ বেলাল বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে মহাকাব্য হিসেবে অভিহিত করে এর তাৎপর্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ইউনেসকো কর্তৃক প্রদত্ত এ স্বীকৃতি বিশ্ব দরবাররে আমাদের গোটা জাতিকে এক নতুন উচ্চতায় আসীন করেছে। এ স্বীকৃতিকে জাতীয় গৌরব ও বাঙালি জাতির এক নতুন পরিচয় হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি প্রবাসী বাংলাদেশিদের বাংলাদেশের চলমান উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় আরও সক্রিয়ভাবে অবদান রাখার আহ্বান জানান।
বক্তব্য দিচ্ছেন শেখ মুহম্মদ বেলালসম্প্রতি ঢাকায় অনুষ্ঠিত দূত সম্মেলনের সূত্র ধরে শেখ মুহম্মদ বেলাল উপস্থিত বাংলাদেশ কমিউনিটিকে অবহিত করেন, প্রধানমন্ত্রী ভূমি পুনরুদ্ধার তথা ল্যান্ড রিক্লেমেশন এবং গ্রিন হাউস টেকনোলজির মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে সহযোগিতা বৃদ্ধির বিষয়ে দিক নির্দেশনা প্রদান করেছেন। তিনি আরও উল্লেখ করেন, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের উজ্জ্বল অবস্থান ও অর্জিত সুনামের জন্য প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
পরে ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণটি ইউনেসকো কর্তৃক স্বীকৃতি লাভ উপলক্ষে হিমেল শীতকে উপেক্ষা করে প্রবাসী বাংলাদেশি ও দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আনন্দমুখর অংশগ্রহণে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা দ্য হেগের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে

 
            
                            
                        
				   
				   
				   
				   
				   
				   
				   
				   
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                             
                             
						 
						 
						 
						 
						 
						 
						

