নিজস্ব প্রতিবেদক-নভেম্বর শেষ হয়ে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পেরিয়ে গেছে। ঋতুচক্রের হিসাবে এই সময়ে শীত জেঁকে বসার কথা। কিন্তু তেমন শীত এখনো আসেনি। এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি গতকাল শুক্রবার সকাল নাগাদ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এ কারণে তিনটি সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার উপকূলকে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
গতকাল ভোর থেকে রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকার আকাশজুড়ে ছিল মেঘ ও কুয়াশা। সেই সঙ্গে মাঝেমধ্যে দমকা হাওয়া। এই হাওয়া উপকূলে আরও জোরে বইছিল।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, গতকাল সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত নিম্নচাপটির কারণে বঙ্গোপসাগর উত্তাল ছিল। নিম্নচাপ কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার। তবে নিম্নচাপটি গতকাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৯০৫ কিলোমিটার, কক্সবাজার থেকে ৮৫৫, মোংলা থেকে ৭৯৫ ও পায়রা থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।
তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর মনে করছে, নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা কম। বরং এটি ভারতের বিহার ও অন্ধ্র প্রদেশ উপকূলের দিকে এগোচ্ছে। এটি আজ শনিবারের মধ্যে ভারতের ওই দুই রাজ্যে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিপাতের আশঙ্কায় বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌযানগুলোকে নিরাপদ অবস্থানে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহীনুল শাহীন বলেন, আজ রাজধানীসহ সারা দেশে কমবেশি বৃষ্টি হতে পারে। কাল বৃষ্টি কিছুটা বাড়তে পারে। নিম্নচাপের কারণে এবার এখনো উত্তর মেরু থেকে আসা শীতল বায়ুপ্রবাহ বাংলাদেশ ভূখণ্ডের দিকে আসতে পারেনি। আগামী দু-তিন দিন এই বৃষ্টি ও মেঘলা আবহাওয়া থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ বৃষ্টি হলে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। রাতের তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় শীতের অনুভূতি গত এক সপ্তাহের তুলনায় বাড়তে পারে।
গতকাল রাজধানীর আকাশ সকাল থেকেই মেঘলা থাকলেও তাপমাত্রা খুব একটা কমেনি। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল দেশের সবচেয়ে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ৩০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।