কথা ডেস্ক-কে বলেছে বেগুনের গুন নেই। বাংলাদেশে রান্না সবচেয়ে ব্যবহৃত সবজি বেগুন। সুগন্ধী এক হাত লম্বা বেগুনিই হোক, বা গোল গোল করে কাটা বেগুন ভাজা। নাম শুনলেই জিভে জল চলে আসে। জেনে নিন কী কী খাদ্যগুণ আছে বেগুনের
• বেগুনে আছে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং ফাইবার, যা শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয়। কোলন ক্যানসারের আক্রমণ ঠেকায় বেগুন।
• বেগুনে আছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার, যা খিদে কমাতে সাহায্য করে। তাই যাঁরা খাই খাই রোগে ভোগেন তাঁরা বেগুন খেলে কমবে ওজন।
• বেগুনে পাওয়া যায় ভিটামিন বি-সিক্স, ফ্ল্যাভোনয়েডস যা হার্টের রোগ প্রতিরোধ করে। প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় হার্টের ধমনি ভাল থাকে এবং হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমায়।
• পটাসিয়াম এবং অ্যান্থোসায়ানিন থাকায় বেগুন খেলে রক্তচাপ ঠিক থাকে।
• বেগুনে কার্বোহাইড্রেট কম থাকে এবং ফাইবার বেশি থাকে তাই ডায়াবেটিক রোগীরা অনায়াসে বেগুন খেতে পারেন। বেগুন খেলে রক্তে শর্করার পরিমান ঠিক থাকে।
• বেগুনে আছে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিডের মতো শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রক্তে খারাপ কোলেস্টোরলের পরিমান কমিয়ে দেয়।
• শুধু হার্টই নয় মস্তিষ্কও ভাল রাখে বেগুন। বেগুনে থাকা ফাইটোনিউট্রিন্টস মস্তিষ্কের কোষ সুস্থ রাখে।
• প্রচুর পরিমানে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং জল মজুত থাকায় বেগুন খেলে ত্বক সজীব এবং উজ্জ্বল থাকে। বলিরেখা আটকে দেয় বেগুন।
• প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি থাকায় ব্যাক্টেরিয়া প্রতিরোধে কার্যকরী বেগুন।
• ত্বকের ক্যানসারের আশঙ্কা কমিয়ে দেয় বেগুন।
• ত্বকের শুষ্কতা কমিয়ে নরম ভাবে এনে দেয় বেগুন।
• চুলের উজ্জ্বল ভাব এবং বাউন্স আনে বেগুন।
পিঠ ও কোমর ব্যথা দূর করে যে শরবত
আজকের বিজ্ঞানের অগ্রগতির যুগে বেশিরভাগ কাজই মেশিনের মাধ্যমে হয়ে যাচ্ছে। ফলে কাজের ধরন আগের চেয়ে অনেকটাই বদলেছে সন্দেহ নেই। এখন কায়িক শ্রমের চেয়ে মাথার কাজ অনেক বেশি করতে হয়। এবং তা করতে হয় এক জায়গায় বসে। প্রযুক্তির বদান্যতায় কিছু কাজ বাদে প্রায় সবটাই হয়েছে কম্পিউটার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ফলে এক জায়গায় দীর্ঘক্ষণ বসে কাজ করা ছাড়া উপায় থাকে না।
আর এসবরে কারণেই স্পন্ডিলাইটিস, গা-হাত-পা ব্যথা, বাত, গাঁটে ব্যথা ও অন্যান্য সমস্যা আজকের দিনে খুব কমন হয়ে গিয়েছে। প্রতিটি ঘরেই এইসবে ভোগা মানুষ রয়েছেন। তবে রোগ থাকলে তা সারানোর টোটকাও রয়েছে। দেখে নিন, কোন কোন পানীয় পিঠ ও কোমরের ব্যথাকে সহজেই উপশম করতে পারবে।
আনারস : আনারসে রয়েছে নানা ধরনের ব্যথা উপশমকারী উপাদান ‘ব্রমেলিন’। এর তৈরি পানীয় শরীরের ব্যথা উপশমে দারুণ সাহায্য করে।
পালং শাক : পালং শাক সেদ্ধ করে তাতে আদা মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে খান। এতে থাকা ভিটামিন কে পিঠের ব্যথা দূর করে। ও আদা মাংসপেশীকে রিল্যাক্স করে।
কলা : কলার সঙ্গে মধু মিশিয়ে পানীয় তৈরি করে খেতে পারেন। হজম ঠিক করে, নানা ধরনে ব্যথা কমাতে এটি দারুণ কাজ দেয়।
ট্রপিক্যাল পানীয় : যদি আপনি বাতের মতো সমস্যায় ভোগেন, তাহলে নারকেলের দুধ, আম, লেবু ইত্যাদি মিশিয়ে তৈরি পানীয় দারুণ উপকার দেবে।
আঙুর : আঙুরের সঙ্গে পার্সলে পাতা দিয়ে তৈরি পানীয় হাড়ের ক্ষয় রোধ করে ও হাড়কে শক্ত করে। এছাড়াও যেকোনও ব্যথাকে কমাতে অ্যান্টিসেপটিকের কাজ করে এই পানীয়।