ঢাকা অফিস-
রাখাইনের স্বাধীনতাই রোহিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান’- এমনটি দাবি করেছে হেফাজতে ইসলাম। তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, বাংলাদেশের প্রত্যেক মুফতি, ওলামা-মাশায়েখ ঐকমত্যে পৌঁছেছেন যে, মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জিহাদ ফরজ হয়ে গেছে। এই জিহাদের প্রাথমিক অংশ হিসেবে আমরা আগামী সোমবার মিয়ানমার দূতাবাস ঘেরাও করব।
শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে দলটি এই ঘোষণা দেয়। সোমবার জাতিসংঘের ঢাকা অফিসে স্মারকলিপিও দেবে তারা। হেফাজতের বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর কমিটির নায়েবে আমির নূর হোসেন কাসেমী।
তিনি সমাপনী ভাষণে বলেন, ‘আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর হবে আরেকটি শাপলা চত্বরের ন্যায় সমাবেশ। সেখানে আপনারা, ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইরা সকলে উপস্থিত হবেন। মিয়ানমারের জালেম সরকারকে আমরা বোঝাতে চাই, নিপীড়ন-নির্যাতন হত্যা-ধর্ষণ বন্ধ করুন। রাখাইনের স্বাধীনতাই হবের এর একমাত্র সমাধান। এজন্য প্রয়োজনে আমরা মিয়ানমারে যাব। যুদ্ধ করব। রোহিঙ্গাদের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করব।’
তিনি আরও বলেন, মিয়ানমারের বিষয়ে সরকারকে অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। প্রয়োজনে যুদ্ধ হবে। রোহিঙ্গা মুসলমানদের রক্ষা করতে প্রয়োজনে লং মার্চ করা হবে। আমাদের ভাইদের রক্ষা করতে আমরা প্রস্তুত।সমাবেশ ঘিরে জুমার নামাজে শেষে হাজারও মুসল্লির প্রতিবাদে মুখর হয়ে ওঠে রাজধানীতে বায়তুল মোকাররম প্রাঙ্গণ।পূর্বঘোষিত কর্মসূচি ঘিরে জুমার নামাজের আগে থেকেই দলটির হাজার হাজার কর্মী সেখানে জড়ো হতে থাকেন। এতে অংশ নেন সাধারণ মানুষও।নামাজ শেষে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর ও শান্তিতে নোবেল জয়ী ‘অং সান সু চির কফিন (প্রতীকী) নিয়ে বিক্ষোভ করা হয়। পরে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।বিক্ষোভ মিছিলে বিক্ষুব্ধ মুসল্লিদের স্লোগান ছিল, ‘বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়ো, আরাকান স্বাধীন করো, বিশ্ব মুসলিম লড়াই করো মিয়ানমারকে ধ্বংস করো’। ‘আমরা আনসার’, ‘রোহিঙ্গা ভাইরা মেহমান।’