শহর প্রতিনিধি:ফেনী শহরের মহিপালে যানজট,আবর্জনার প্রকোপ লাঘব করার লক্ষ্যে ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে বৃহস্পতিবার দিনভর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন।অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা।
এসময় ফলের ট্রাক রেখে রাস্তা অবরোধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করায় মহিপালের শাহীদ এন্টারপ্রাইজের মালিক সাইফুল ইসলাম (২৮)কে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়।মহিপালের প্রায় ২শ টি দোকানের আবর্জনা রাস্তার উপরে চলে আসতে দেখা যায়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পৌরসভার ময়লার গাড়িসহ অভিযানে যান।দুই ঘন্টার মাঝে যৌথভাবে ফল মালিক সমিতিওপৌরসভা ময়লা সরিয়া গন্ধ লাঘবে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে।
পরে আনসার ক্যাম্পের পাশে দক্ষিণ চাড়িপুর আল আমিন চিড়া মুড়ি মিলের কারখানায় অভিযান করা হয়।কেমিক্যাল রঙ মিশিয়ে বুট ভাজার অপরাধে প্রতিষ্ঠানের মালিক হাজী আব্দুল করিম (৫৫) কে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়। জব্দ করা হয় দুই ড্রাম রং।
একই সময় মহিপাল বীজ ভান্ডারে অভিযান পরিচালিত হয়।প্রতিষ্ঠানের মালিকের বিরুদ্ধে বেশি দামে সরকারি বীজ বিক্রয়ের পূর্বের অভিযোগ ছিল।দোকানে গিয়ে দেখা যায় নোয়াখালীর সেনবাগের ফকিরহাটের জিরুয়া গ্রামের কৃষক আবুল খায়েরের কাছে ১০ কে.জি. বি আর -২২ ভিত্তি বীজ ৮ শ টাকা বিক্রির প্রস্তাব করেছেন।আরো একজন ক্রেতা পাওয়া যায় যার কাছে ১০ কে.জি. বীজ ৮ শ ৫০ টাকা দাবি করেছেন।১০ কে.জি. বি আর-২২ ভিত্তি বীজের সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য ৬শ ৩০ টাকা।প্রতিষ্ঠানটির মালিক আবুল খায়ের মুন্সি (৬২)কে ৪০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে প্রতিষ্ঠানের মালিক বীজ মার্কেটিং অফিস এর উপ-পরিচালকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উথাপন করেন।
অভিযানে পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর কৃষ্ণময় বণিক, সদর উপজেলা সানিটারি ইন্সপেক্টর আব্দুর রহমান ও ব্যাটালিয়ান আনসারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।