ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে অশ্রু নয়নে চির বিদায় দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সোনাগাজী ছাবের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।পরে উত্তর চরচান্দিয়ায় দাদির কবরের পাশে নুসরাতকে দাফন করা হয়।
জানাযায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলা উদ্দিন আহম্মেদ চৌধুরী নাসিম,জেলা প্রশাসক মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান,পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম সরকার,জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুর রহমান বিকম,সোনাগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটনসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, আত্মীয়-স্বজন ও নুসরাতের সহপাঠিরা অংশগ্রহণ করেন।
জানাজার পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তারা নুসরাতের হত্যায় জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এর আগে ঢামেক হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নুসরাতের মরদেহ লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি তাদের গ্রামের বাড়ি উত্তর চরছান্দিয়ায় আনা হয়। আগে থেকেই সেখানে জড়ো হওয়া আত্মীয়-স্বজন ও এলাকাবাসীর আহাজারিতে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।
গত ২৭ মার্চ নিজ কক্ষে ঢেকে নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মাদরাসার
অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পরিবার।এ মামলা অধ্যক্ষ কারাগারে থাকাকালীন ৬ এপ্রিল মাদ্রাসার ছাদে কেরোসিন ঢেলে নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টা করে চার মুখোশধারী।
এ ঘটনায় অধ্যক্ষসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ ১১ জনকে গ্রেফতার করে ৭ জনকে রিমান্ডে নিয়েছে।দীর্ঘ ৫ দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন থেকে বুধবার রাতে সে মারা যায়।বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হলে বিকাল ৫ টায় নুসরাতের লাশ গ্রামের বাড়িতে আনা হয়।
এছাড়াও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শনাক্ত করতে তদন্তে নেমেছে পিবিআইসহ পুলিশের কয়েকটি টিম।