ফেনী
সোমবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৭:১৬
, ১৬ই জমাদিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

আল্লাহ ছাড়া কারো কাছে মাথা নত করব না’

দ্য গার্ডিয়ান: একজন শক্তিধর নির্বাহী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার মাধ্যমে তুরস্কের জনগণ তাদের দেশের গণতান্ত্রিক শাসনের নতুন যুগের সূচনা করেছে। তবে পশ্চিমা মিডিয়া একে দেশটির গণতন্ত্রের অন্ধকার যুগের সূচনা বলে মন্তব্য করছে। রোববারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ফলে এরদোগান এখন বিশ্বের শক্তিধর নেতাদের প্রথম কাতারে এসে শামিল হয়েছেন। এই ক্লাবের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট দিমির পুতিন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মতো প্রতাপশালী নেতারা।

তবে তার অবাধ রাজনৈতিক আধিপত্য তুরস্কের গণতন্ত্রের জন্য ভালো খবর নয় বলে পশ্চিমা বিশ্লেষকেরা দাবি করছেন। এসব মিডিয়া বরাবরই স্বাধীনচেতা এই নেতার সমালোচনামুখর। নির্বাচনে জয়ের পর আংকারায় নিজ দল ইসলামপন্থী জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) সদর দফতরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে দেয়া তার বিজয়ী ভাষণকে কেউ কেউ ভয়ের চোখে দেখছে। তিনি এ বিজয়কে দেশবাসীর প্রতি নিবেদন করে তুরস্কের দুশমনদের বিরুদ্ধে দেশ-বিদেশে চূড়ান্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার সঙ্কল্প ব্যক্ত করেছেন। এরদোগান বলেন, ‘আমরা আল্লাহ ছাড়া আর কারোর কাছে মাথা নত করব না’। হাজার হাজার সমর্থকের সমাবেশে তিনি আরো বলেন, ‘এ নির্বাচনে গনতন্ত্রের জয় হয়েছে এবং তুরস্ক বাকি বিশ্বের জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।’

২০০৩ সাল থেকে এরদোগান তুরস্ককে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তার নেতৃত্বে দেশটি বিশ্বের অন্যতম সমৃদ্ধ ও নেতৃস্থানীয় দেশে পরিণত হয়েছে। গত বছর গণভোটে তুরস্কে প্রেসিডেন্ট পদ্ধতির শাসন অনুমোদিত হওয়ার পর তিনি প্রথম নির্বাহী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। প্রেসিডেন্টের হাতে এখন বিপুল ক্ষমতা। তিনি মন্ত্রীদের নিয়োগ ও বরখাস্ত করতে এবং পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে পারবেন। ফরমান জারি এবং বিচারক নিয়োগ করতে পারবেন। এ ছাড়া সশস্ত্র বাহিনীকে পরিচালিত ও যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারবেন।

তবে ২০১৬ সালের ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর জারি করা জরুরি অবস্থা শিগগিরই তুলে নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এরদোগান। নির্বাচনের আগে তুরস্কের অজ্ঞাত নিরাপত্তা সূত্র জানায়, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য ইউরোপীয় নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থার পাঠানো নির্বাচন পর্যবেক্ষকেরা নির্বাচনপ্রক্রিয়া সম্পর্কে খারাপ ধারণা ছড়ানোর চক্রান্ত করছিলেন। তাদের কয়েকজনকে তুরস্কে নিষিদ্ধ করা হয়।

একে পার্টি পার্লামেন্টেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তবে তাদেরকে সরকার গঠন করতে হলে বাহসেলির এমএইচপি পার্টির ওপর নির্ভর করতে হবে। আধুনিক যুগের সুলতান হিসেবে এরদোগানের উত্থানকে ইউরোপ ভয়ের চোখে দেখছে। তবে পুতিন তার বিজয়ে বেশ খুশি হয়েছেন। সিরিয়া যুদ্ধের সময় দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা সত্ত্বেও আংকারা-মস্কো দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নতি ঘটেছে। অত্যাধুনিক এস-৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র তুরস্কের কাছে বিক্রি করছে মস্কো। এ ছাড়া তারা যৌথভাবে একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র গড়ে তুলছে। ন্যাটো ও যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি সত্ত্বেও এরদোগান এখন রাশিয়া ও ইরানের সাথে তার মিত্রতার সম্পর্ক অব্যাহত রাখবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

এরদোগান যেন নির্বাচিত হতে না পারেন সেটিই চাচ্ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশির ভাগ দেশ। তারা তুরস্কে ধর্মনিরপেক্ষতা পরিবর্তন করার তার পদক্ষেপকে ভালো চোখে দেখছে না। তবে অভিবাসী ও সন্ত্রাসবাদের সমস্যা মোকাবেলার জন্য ইইউ দেশগুলোর জন্য তুরস্কের সহায়তা খুবই জরুরি। এ ক্ষেত্রে আংকারাকে উপেক্ষা করা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে হাঙ্গেরির ডানপন্থী প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান এর ব্যতিক্রম। ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে তিনিই প্রথম এরদোগানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। অরবানের মতো পুতিন ও ট্রাম্পও এরদোগানকে তাদের মতোই একজন শক্তিশালী ও জনপ্রিয় নেতা বলে মনে করছেন।

ব্রিটিশ গণমাধ্যমে ব্যাপক কাভারেজ

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগান এবং তার জাস্টিজ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির নির্বাচনী সাফল্য ব্রিটিশ গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে কাভারেজ পেয়েছে। শীর্ষস্থানীয় ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি নিউজ, দ্য স্কাই নিউজ এবং দ্য গার্ডিয়ানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ব্যাপক গুরুত্ব দিয়ে প্রকাশ করেছে। বিবিসির খবরে এরদোগানকে উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘তুরস্কে দীর্ঘ দিন ধরে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত নেতা রজব তাইয়্যেব এরদোগান প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে প্রথম রাউন্ডে সরাসরি জয়লাভ করেছেন।’

এতে আরো বলা হয়, প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে এরদোগান ৫৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। অন্য দিকে, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মুহাররেম ইনজ পেয়েছেন ৩১ শতাংশ ভোট। দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, ‘তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এরদোগান জয়লাভ করেছেন বলে তিনি দাবি করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত সব ভোট গণনা না হওয়ায় বিরোধীরা পরাজয় স্বীকার করেননি।’

স্কাই নিউজের খবরে বলা হয়, আন-অফিসিয়াল ফলাফল অনুযায়ী তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে এরদোগান আবার ফিরছেন বলে বলে জানিয়েছেন। এতে বলা হয়, ‘কিন্তু প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ৮ জুলাই দ্বিতীয় দফা নির্বাচন এড়ানোর জন্য এরদোগান এখনো প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট পাননি।’ এর আগে রোববার প্রেসিডেন্ট এরদোগান তুরস্কের ঐতিহাসিক প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনে তার সাফল্য অর্জনের ঘোষণা দেন।

রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ৯৭.৭ শতাংশ ব্যালট গণনা শেষে এরদোগান ৫০ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়েছেন। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে প্রার্থীকে অবশ্যই ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেতে হয়। কোনো প্রার্থী যদি প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট না পান, তবে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন হয়।

জুস বিক্রেতা থেকে মুসলিম উম্মাহর অবিসংবাদিত নেতা

ব্লুুমবার্গ
রজব তাইয়েব এরদোগান একসময় রাস্তায় রুটি ও জুস বিক্রি করতেন। তিনি এখন আধুনিক তুরস্কের সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা। সমর্থকেরা তাকে দেশের রক্ষাকর্তা হিসেবে দেখে থাকেন। ধর্মপরায়ণ তবে ক্যারিশমেটিক এরদোগান তুরস্কের ২৪ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে ১৫ বছরের ক্ষমতাকে আরো সম্প্রসারিত করলেন।

এর ফলে তিনি হলেন দেশটিতে মুস্তফা কামাল আতাতুর্কের পর সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী ও ক্ষমতাধর শাসক।
‘সুলতান’ হিসেবে খ্যাত এরদোগানকে ইতঃপূর্বে গাজী পার্কে কয়েক মাসের বিক্ষোভ সহ্য করতে হয়েছে। তবে এক-দেড় দশকে তুরস্কের নজিরবিহীন প্রবৃদ্ধির জন্য বিশ্বব্যাপী নন্দিত তিনি। গত বছর তিনি বলেছিলেন, ‘আমি একনায়ক নই, এটা আমার রক্তে নেই।’ তুরস্কের গ্রামীণ জনগোষ্ঠী এবং ধর্মপরায়ণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে তার সুদৃঢ় সমর্থন রয়েছে, যারা তার শাসনে উন্নতি লাভ করেছেন।

দ্য ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের তুরস্কবিষয়ক গবেষক সোনার ক্যাগাপ্তে বলেন, এরদোগানের অর্থনৈতিক রেকর্ড এবং কর্তৃত্ববাদী মজলুম হিসেবে তার ইমেজই তাকে প্রেসিডেন্ট পদে জয় এনে দেয়। তুরস্কে বিগত কয়েক দশকের ঘন ঘন সামরিক অভ্যুত্থান এবং দুর্বল জোট সরকারের পর স্থিতিশীল সরকার উপহার দেয়ার জন্য এরদোগানের প্রশংসা করা হয়। তিনি শক্তিশালী সামরিক বাহিনীর লাগাম টেনে ধরেছেন। নতুন ব্রিজ, বিমানবন্দর অন্যান্য বৃহৎ প্রকল্পের মাধ্যমে তিনি একসময়ের তলাবিহীন তুরস্ককে শক্তিশালী বাজারে পরিণত করেছেন। তার শাসনামলে সাধারণ তুর্কিদের আয় তিন গুণ বেড়েছে। মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরেছেন তিনি। নতুন একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন এরদোগান। ইস্তাম্বুলের গাজী পার্কের ওপরে ওসমানি যুগের আদলে শপিং মল তৈরি করা হচ্ছে।

ইস্তাম্বুলের পাশের কাসিমপাশায় জন্ম নেয়া এরদোগানের বাবা ছিলেন একজন কোস্টগার্ড কর্মকর্তা। কিশোর বয়সে রাস্তায় রুটি এবং লেবু বিক্রি করতেন এরদোগান। তরুণ বয়সে ইসলামিক ইয়ুথ সংগঠনে যোগদান করেন তিনি। এ সংগঠন তুরস্কের কট্টর সেক্যুলার নীতির বিরোধিতা করে। তুরস্কের ক্ষমতাধর জেনারেলরা মসজিদ ও রাষ্ট্রের মধ্যে বিশাল ব্যবধান তৈরি করে। একসময়ে আধা পেশাদার হিসেবে ফুটবল খেলোয়াড় এবং ব্যবসায় শিক্ষায় স্নাতক ডিগ্রিধারী এরদোগান ১৯৯৪ সালে ইস্তাম্বুলের মেয়র নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি দেড় কোটি লোকের এ শহরটির ট্রাফিক জ্যাম এবং বায়ুদূষণ রোধে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। যখন তার ইসলামঘেঁষা দলকে নিষিদ্ধ করা হয় তখন বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি এ সময় একটি ইসলামি কবিতা পাঠ করেন। সেই কবিতাটি ছিল এ রকমÑ ‘মসজিদ আমাদের ক্যান্টনমেন্ট, গম্বুজ আমাদের হেলমেট, মিনার আমাদের বেয়নেট এবং ঈমানদাররা আমাদের সৈনিক।’ এই কবিতার মধ্যে ধর্মীয় উসকানির গন্ধ পায় সেক্যুলার শাসকেরা। তবে এরদোগান বারবারই এ কবিতা আবৃত্তি করেন।

২০০১ সালে এরদোগান এবং তার সহযোগী এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ গুল ইসলামঘেঁষা জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) গঠন করেন। পরের বছরের নির্বাচনে দলটি আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিজয় অর্জন করে। এরপর আরো দু’টি পার্লামেন্ট নির্বাচনেও জয় পায় একেপি। দেশবাসীর বিশাল বিশাল নির্বাচনী প্রচারাভিযানে তিনি বিরামহীন অংশ নেন। অসুস্থতাও তাকে থামাতে পারে না। নির্বাচনী প্রচারণার মধ্যেই হয়তো স্থানীয় কোনো ফুটবল খেলায় মেতে ওঠেন তিনি।

তুরস্ককে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য করতে দেশে ব্যাপক সংস্কার করা হয়েছে। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মুসলিম রাষ্ট্র তুরস্ককে সদস্যপদ দিতে গড়িমসি করায় ক্ষুব্ধ এরদোগান বলেন, ইইউর সদস্যপদের জন্য তুরস্ক অনাদিকাল অপেক্ষা করবে না। সাম্প্রতিক সময়ে এরদোগান তুরস্কে সেক্যুলারদের প্রবর্তিত হিজাবের ওপর নিয়ন্ত্রণ শিথিল করেছেন। মদ বিক্রিতে কড়াকড়ি আরোপ করেছেন তিনি। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে ছেলেমেয়েদের সহ-অবস্থান নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। এরদোগান বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি না যে ইসলামিক সংস্কৃতি এবং গণতন্ত্র একত্রে চলতে পারে না।’

তুর্কি নির্বাচনে তরুণ ভোটাররাই প্রধান ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করেন। তুরস্কের ইজিয়ান উপকূলের ইজমির বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ক্যাফেতে হিজাব পরিহিত একদল ছাত্রছাত্রী খোশগল্প করছিলেন এবং চূড়ান্ত পরীক্ষার আগে শিক্ষকের লেকচার নোটগুলো দেখে নিচ্ছিলেন। প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান ক্ষমতায় আসার আগে এই দৃশ্যটি অকল্পনীয় ছিল। তুরস্কের পুরনো ধর্মনিরপেক্ষ নিয়ম অনুযায়ী ক্যাম্পাসে হিজাব নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।

তুরস্কের অনেক শহরের মতো ইজমিরও এরদোগানের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ছোঁয়ায় রূপান্তরিত হয়েছে। শহরের রাস্তাগুলোতে ইউরোপীয়-নির্মিত বিলাসবহুল ‘সেডান’ গাড়ির পাশাপাশি রাস্তাগুলোর পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে বহুতল অফিস ভবন। রোববারের নির্বাচনে পুনরায় বিজয়ী হওয়ার পেছনে এসব অর্জনও ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo
error: Content is protected !!