ফেনী
মঙ্গলবার, ২১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৩:১৩
, ২৮শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

কাশ্মীর নিয়ে চীনকে পাল্টা সতর্কতা ভারতের

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা (স্বায়ত্বশাসন) বাতিল নিয়ে চীনের সঙ্গে সীমানা বিতর্কে জড়িয়েছে ভারত সরকার। জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল-২০১৯ এর আওতায় লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে পরিণত করার সিদ্ধান্তকে নিজেদের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানিয়েছে ভারত। অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে চীনকে মন্তব্য না করতে সতর্ক করে দিয়েছে দেশটি।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বেইজিং সফরকে সামনে রেখে মঙ্গলবার এ সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়। আগামী ১১ আগস্ট থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত জয়শঙ্করের চীন সফরে থাকার কথা।

এর আগে মঙ্গলবার বেইজিং এক বিবৃতিতে বলেছিল,চীন-ভারত সীমান্তের পশ্চিম অংশে ভারতের প্রশাসনিক এখতিয়ারের মধ্যে চীনা এলাকার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বরাবরই বিরোধিতা করে আসছে বেইজিং। এ অবস্থানটি দৃঢ়,অবিচল ও কখনও পরিবর্তন হয়নি। সম্প্রতি দেশের অভ্যন্তরীণ আইন সংশোধনের মধ্য দিয়ে ভারতীয় পক্ষ একতরফা চীনের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করে যাচ্ছে।

হুয়া বলেন, কাশ্মীরের বর্তমান অবস্থা নিয়ে চীন গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, আমরা পাকিস্তান ও ভারতকে বিরোধীয় অঞ্চল নিয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছি। চীন ভারতকে সীমান্তের সমস্যাটিকে আরও জটিল করে তোলে এমন কোনো পদক্ষেপ এড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছিল।

মঙ্গলবারই চীনের সতর্কতার জবাবে পাল্টা সতর্কতা দিয়েছে দিল্লি। জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে দাবি করা হয়।

চীনকে এ ব্যাপারে মন্তব্য না করার আহ্বান জানিয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেন, ভারত অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলে না এবং অন্য দেশগুলোও একই পথ অনুসরণ করবে বলে আশা রাখি আমরা।

ভারত ও চীনের সঙ্গে লাদাখ নিয়ে সীমান্ত বিরোধ রয়েছে। বিরোধপূর্ণ এলাকা লাদাখের নিয়ন্ত্রণ বেইজিংয়ের হাতে হলেও ভারত বরাবরই একে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে আসছে।

সোমবার ওই এলাকাটির বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় ভারত। ফলে চীনের সীমান্ত নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে যখন চীনা সেনারা বেশ কয়েক কিলোমিটার উত্তরে লাদাখের দিকে অগ্রসর হয়েছিল তখন দু’সপ্তাহের স্থবিরতা দেখা দিয়েছিল ওই অঞ্চলে।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo
error: Content is protected !!