কথা ডেস্কঃ কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার আমিরাবাদ থেকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার মেঘনা সেতু এলাকা পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে প্রায় ৩০ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থেকে চালক ও যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হাইওয়ে পুলিশ বলছে অতিরিক্ত যানবাহন পাশাপাশি অনেকগুলো এলোপাতাড়ি চলার কারণে গতকাল মঙ্গলবার থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
দাউদকান্দির ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজের অন্তত চারজন শিক্ষার্থী সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তীব্র যানজটের কারণে দাউদকান্দির গৌরীপুর থেকে কলেজ পর্যন্ত নয় কিলোমিটার পথ হেঁটে কলেজে পৌঁছতে হয়েছে।
শহীদনগর রজনীগন্ধ্যা স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক মার্জিয়ারা বেগম বলেন, যানজটের কারণে তিন কিলোমিটার পথ হেঁটে স্কুলে যাওয়ার জন্য মহাসড়কের পাশের খালি জায়গা পেতেও কষ্ট হয়েছে।
রাজশাহীর চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চট্টগ্রামগামী সনি পরিবহনের বাসের চালক বাদশা মিয়া, বগুড়া থেকে চট্টগ্রামগামী শ্যামলী পরিবহনের বাসের চালক রফিকুল ইসলাম সকাল নয়টায় দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ডে বলেন, রাত দুইটায় নারায়ণগঞ্জের মদনপুরে এসে যানজটে আটকা পড়ে ৪০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে সাত ঘণ্টা সময় লেগেছে। এতে বাসের যাত্রীদের শৌচাগার, খাবারসহ বিভিন্ন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রামগামী দৈনিক ট্রান্সপোর্ট ও পার্সেল সার্ভিস কাভার্ডভ্যানের চালক মো.আমির হোসেন বলেন, ঢাকার সাইনবোর্ড এলাকায় রাত ১১টায় যানজটে আটকা পড়ে কুমিল্লার দাউদকান্দি পর্যন্ত এক ঘণ্টার পথ অতিক্রম করতে ১০ ঘণ্টা সময় লেগেছে।
দাউদকান্দির গৌরীপুরের পত্রিকার এজেন্ট মজিবুর রহমানের ব্যবস্থাপক মোখলেছুর রহমান বলেন, রাত তিনটার পত্রিকা সকাল ১০টায় পৌঁছেছে।
দাউদকান্দির স্বল্পপেন্নাই গ্রামের মাইক্রোবাস চালক আবদুস সাত্তার বলেন, গতকাল রাতে ঢাকার গাজীপুরের উদ্দেশে রওনা দিয়ে দুই ঘণ্টার পথ অতিক্রম করতে ১২ ঘণ্টা সময় লেগেছে।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, অতিরিক্ত ও এলোপাতাড়ি যানবাহন চলাচলের কারণে গতকাল মঙ্গলবার সকালে গজারিয়ার মেঘনা এলাকা থেকে এ যানজটের সৃষ্টি। পরিস্থিত স্বাভাবিক করতে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।