মার্কিন কনস্যুলেটের তৃতীয় এক কর্মী ও তার স্ত্রীকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য হিসেবে অভিযুক্ত করেছে তুরস্ক। অভিযোগপত্রের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এমন তথ্য দিয়েছে। এতে দুই ন্যাটো মিত্রের মধ্যে নতুন করে সম্পর্কের টানাপোড়েন দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইস্তানবুলের মার্কিন কনস্যুলেটের নিরাপত্তা কর্মকর্তা নাজমি মেট চানটুর্ক, তার স্ত্রী ও কন্যার বিরুদ্ধে ফেতুল্লাহ গুলেন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০১৬ সালের তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানকে হটাতে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের জন্য দায়ী করা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে স্বেচ্ছায় নির্বাসিত ফেতুল্লাহ গুলেনকে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য হওয়ার অভিযোগে তাদের কারাদণ্ড চেয়েছেন তুরস্কের এক কৌঁসুলি। গত ৮ মার্চ অভিযোগপত্র শেষ করা হলেও তা এখনো প্রকাশ করা হয়নি।
এতে বলা হয়েছে, গুলেন নেটওয়ার্কের সদস্য হওয়ায় তদন্তাধীন কয়েক ডজন লোকের সঙ্গে চানটুর্কের যোগাযোগ রয়েছে। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নির্দেশনা অনুসারে সন্দেহভাজন তৎপরতার প্রমাণ পাওয়ার কথাও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়। তবে চানটুর্ক, তার স্ত্রী ও কন্যা নিজেদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেন, ওয়াশিংটনের কাছে কোনো বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ নেই যে চানটুর্ক কোনো অবৈধ তৎপরতায় জড়িত। তার ৩০ বছরের পেশাগত জীবনে তুরস্কের বহু নিরাপত্তা কর্মী ও সরকারি কর্মকর্তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র চানতুর্কের বিষয়টি তুরস্ক সরকারের কাছে উত্থাপন করেছে। বিভিন্ন সময়ে তার বিষয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি।
এর আগে ২০১৭ সালে সন্ত্রাসবাদ ও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে মার্কিন কনস্যুলেটের স্থানীয় দুই কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছে। তবে তারা তুরস্কের নাগরিক ছিলেন।