ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফির স্বপ্ন ছিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা হওয়া। আলিম পরিক্ষা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে সুযোগ পেতে ভর্তি কোচিং করার কথাও জানান পরিবারের কাছে। কিন্তু বুধবার রাতে তার মৃত্যুতে সব স্বপ্ন থমকে গেল। শনিবার দুপুরে রাফির ভাই নোমান এসব কথা জানান।
এর আগে ২৭ মার্চ নিজ কক্ষে ঢেকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন শিক্ষার্থীর পরিবার। এরপর রাফির পরিবারকে মামলা তুলে নিতে অনবরত হুমকি দিয়েছিলেন অধ্যক্ষের সহযোগীরা। ওই মামলায় সিরাজ উদদৌলা কারারন্তীন থাকাকালীন ৬ এপ্রিল ওই শিক্ষার্থীকে মাদরাসার ছাদে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে চার মুখোশধারী। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজসহ ৮ জনকে আসামী করে থানায় রাফির পরিবার মামলা দায়ের করলে পুলিশ এই পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করে ১০ জনকে ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন।আদালত শুনানি শেষে বিভিন্ন মেয়াদে তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দীর্ঘ ৫ দিন শরীরের ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা নিয়ে বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে মৃত্যুবরন করেন রাফি। বৃহস্পতিবার সোনাগাজী সাবের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাযার নামাজ শেষে সন্ধ্যায় পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাদির কবরের পাশে অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকে দাফন করা হয়। এ সময় পরিবারের সদস্য, আত্মীয়-স্বজন, সহপাঠী, বন্ধু-বান্ধবসহ এলাকার নারী-পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।