দাগনভুইয়া প্রতিনিধি: ফেনীর দাগনভুঞায় যৌতুকের টাকা না পেয়ে স্বামী কর্তৃক স্ত্রী জাহেদা খাতুন মাম্মি (২০)কে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে স্বামী মোহাম্মদ সোহেল ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে বলে জানা যায়।
বৃহস্পতিবার সকালে দাগনভুঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে গৃহবধূ জাহেদা খাতুন মাম্মির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
নিহত গৃহবধূ জাহেদা খাতুন মাম্মি (২০) নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বালিয়াকান্দি গ্রামের শাহাব উদ্দিনের মেয়ে। অভিযোগ উঠেছে, যৌতুকের টাকা চেয়ে জাহেদা খাতুনকে পিটিয়ে আহত ও নির্যাতনের পর দাগনভুঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে রেখে পালিয়ে যায় তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
দাগনভুঞা থানার ওসি মো. ছমির উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের স্বজনরা বলেন, ২০১৬ সালে সেনবাগ উপজেলার বালিয়া কান্দি এলাকার শাহাব উদ্দিনের মেয়ে জাহেদা খাতুনের সঙ্গে একই উপজেলার রাজারামপুর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ সোহেলের বিয়ে হয়। এরপর থেকে স্বামী ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন প্রায়ই যৌতুকের জন্য তাকে নির্যাতন করতেন। গত বুধবার রাতেও যৌতুকের জন্য চাপ প্রয়োগ করে স্বামী সোহেল। এক পর্যায়ে জাহেদাকে মারধর করা হয়। জাহেদা খুব অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে দাগনভুঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জাহেদার আত্মীয় ফাতেমা বেগম বলেন, বিয়ের পর থেকেই জাহেদাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে নির্যাতন করতো।
দাগনভুঞা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবুল খায়ের মিয়াজী বলেন, ভোর রাতে কয়েকজন লোক এক গৃহবধূকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে আসে। পরে তাকে মৃত ঘোষণা করা হলে তারা লাশ রেখে পালিয়ে যায়। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ এসে নিহতের পরিচয় শনাক্ত করেন।