দাগনভূঞা প্রতিনিধি: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই নিরবে প্রস্তুতি চলছে উপজেলা নির্বাচনের। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সরকার দলীয় মনোনয়ন পেতে সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতিমধ্যে মরিয়া হয়ে উঠেছে।ফেনীর সবগুলো উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান গুলো ক্ষমতাসীন দলের হলেও সাংগঠনিক কর্মকান্ডে অনিহা, নেতাকর্মীদের সাথে দুরত্বের কারণে বর্তমান চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদের মাঝে অনেকেই আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানা গেছে।এ ক্ষেত্রে শিক্ষা, সাংগঠনিক ভিত্তি, দলের জন্যে পরিশ্রমি, যোগ্যতাকে প্রধান্য নিয়ে এবার মনোনয়নে ত্যাগীদের প্রধান্য দেওয়া হবে বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এ বিবেচনায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাঝে দাগনভূঞায় উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে এগিয়ে রয়েছে উপজেলা যুব মহিলালীগ সভাপতি সাংবাদিক রোখসানা ছিদ্দিকী।তিনি যুব মহিলালীগের দায়িত্বে আসার আগে ক্ষমতাসীন দলতো নয়ই কোন দলের হয়েই মহিলাদের সভা সমাবেশ বা দলীয় প্রোগ্রামে মহিলাদে তেমন দেখা যেত না বললেই চলে।
সাংগঠনিক ইউনিট গুলোতে মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত পদগুলো তে মহিলা পাওয়া দুঃস্কর হয়ে পড়তো। সাংবাদিক রোখসানা ছিদ্দিকী’র সাংগঠনিক কর্মকান্ডের ফলে এখন দলের যে কোন সভা সমাবেশ ও দলীয় কর্মসূচীতে হাজার হাজার মহিলার উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।
চট্টগ্রাম বিভাগে শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল কবীর রতনকে সংবর্ধনার মাধ্যমে প্রধান অতিথি নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপির উপস্থিতিতে জেলার প্রথম ও সর্ব বৃহৎ মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল দাগনভুঞা আতার্তুক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। আর এ মহিলাদের সংগঠিত করার নায়ক ছিল উপজেলা যুব মহিলালীগ সভাপতি সাংবাদিক রোখসানা ছিদ্দিকী।তাছাড়া উপজেলা যুব মহিলালীগের সম্মেলনে আগত মহিলাদের মিজান মিলনায়তনে স্থান সংকুলান না হওয়ায় বিদ্যালয়ের মাঠেও শতশত মহিলাদের দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল।এছাড়া বিএনপি জামাতের জ্বালাও পোড়াওয়ের বিরুদ্ধে জেলা, উপজেলায় এ নেত্রীর নেতৃত্বে
শত শত নারীর মানববন্ধন ও সতর্ক পাহারা সর্ব মহলে প্রশংসা কুডিয়েছে।
দাম্পত্য জীবনে তিন পূত্র সন্তানের জননী রোখসানা ছিদ্দিকী নিজের
সম্পাদিত ও প্রকাশিত সমসাময়িক প্রতিদিন ও সাপ্তাহিক ফেনীর সমসাময়িক পত্রিকা দু,টির মাধ্যমে প্রতিনিয়ত আওয়ামীলীগ ও স্বাধীনতা স্বপক্ষ হয়ে বিপক্ষীয় জামাত বিএনপির বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত লড়াই ছালিয়ে যাচ্ছেন।
সপ্তম শ্রেনী হতে ছাত্রলীগের দায়ীত্ব পালন করে আসা সাংবাদিক রোখসানা ছিদ্দিকী একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।
পরশুরামের চিথলিয়াতে জন্ম নেওয়া নেত্রীর পিতৃ ও মাতৃ পরিবারে পিতা, মামারা তিন জন মুক্তিযোদ্ধা, এবং শতভাগ আওয়ামী পরিবার।
২০০২ সালে বিবাহবন্ধনের মাধ্যমে স্থায়ী আবাস গড়েন দাগনভুঞার নুরুল্লাপুরে।স্বামী ছিদ্দিকুর রহমান ও কতটা পোড় খাওয়া সংগঠক তা উপজেলাবাসী তাঁর ছাত্রজীবন থেকে দেখে এসেছে।
পরীক্ষিত এ নেত্রী সম্পর্কে বলতে গিয়ে দাগনভুঞার জেলা যুবলীগের একনেতা বলেন “রোখসানা অনেকটা যাদু দেখিয়েছে। এমন কিছু নেতৃত্ব সে তুলে এনেছে যা সত্যিই প্রশংসনীয়। এবং রোখসানা কে দায়ীত্ব দেওয়ার পরেই উপজেলায় মহিলাদের সাংগঠনিক অংশ গ্রহন চোখে পড়ার মত।
উপজেলা আওয়ামীলীগের ঐক্যের প্রতিক খ্যাত একনেতা, মহিলাদের মাঝে অনেক ভালো কাজ করেছে জানিয়ে বলেন, আসলে চায়ওনি,
মেয়েটারে কোন চেয়ার দেওয়া যায়নি। এবার দেখা যাক।
উপজেলা আওয়ামীলীগের আরেক প্রভাবশালী নেতা বলেন, রোখসানা ছিদ্দিকী বাংলাদেশে একমাত্র মহিলা যে দুটি পত্রিকার মালিক ও সম্পাদক।তাঁর সাংগঠনিক ত্যাগ শ্রম ও যোগ্যতাকে উল্লেখ করার মত বটে।তিনি আরো বলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান না সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ পদে প্রার্থী হবে বুঝা যাচ্ছে না।
দাগনভূঞার এক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, উপজেলা যুব মহিলালীগের দায়ীত্বে আসার পর উপজেলার প্রতিটি গ্রামে, প্রতিটি বাড়ীতে গিয়ে রোখসানা ছিদ্দিকী মহিলাদের কে সুসংগঠিত করেছে। দলে অবশ্যই তার মুল্যায়ন হবেই।
দাগনভুঞা পৌর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাওলা বলেন, এ উপজেলা হতে সংরক্ষিত আসন কিংবা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান যে পদেই হোক সাংবাদিক রোখসানা ছিদ্দিকীর কোন বিকল্প দেখছিনা।তাঁর সাংগঠনিক পরিশ্রম ও প্রকাশনার বিকল্প কিছু উপজেলায় নেই।
তাঁকে চেয়ারে বসাতে পারলে সাংগঠনিক ভাবে সে যে নারী জাগরন তৈরী করেছে তা অকল্পনীয় ভাবে ব্যাপকতর ও সু-সংগঠিত হবে।
উপজেলা ছাত্রলীগের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদিকা লিপি হক বলেন, আমরা যারা এখন ছাত্রলীগ করি তাদের সবাইকে তো রোখসানা আপাই দলে নিয়ে এসেছে।এখনও হাইস্কুল ও কলেজগুলোতে ছাত্রীদের মাঝে তিনি নিয়মিত যোগাযোগ করে দলের কাজ করে যাচ্ছেন।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে সাংবাদিক রোখসানা ছিদ্দিকী এ প্রতিবেদকে বলেন আমি নেত্রী না, একজন সাধারন কর্মি। আর দল ও দলের নেতৃবৃন্দ যখন কোন পদে আমাকে যোগ্য মনে করবেন তখন অবশ্যই ডাকবেন।