ফেনীর সোনাগাজীতে আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টায় (পরবর্তীতে হত্যা) দায়ের করা মামলায় এজাহার নামীয় আসামী সোনাগাজী পৌর কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুল আলম (৪৫), জোবায়ের আহাম্মেদ (২০) ও নুর উদ্দিন (২০) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে মাকসুদ আলমকে ঢাকার একটি আবাসিক হোটেল ও জোবায়ের আহাম্মদকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ দিকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার মুক্তি আন্দোলনের সমন্বয়ক ও নুসরাতকে পুড়িয়ে হত্যা মামলার অন্যতম আসামী নুর উদ্দিনকে ময়মনসিংহের ভালুকা এলাকা থেকে শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে গ্রেফতার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল।
এর আগে ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে নিজ কক্ষে ঢেকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করে।এ ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করে শিক্ষার্থীর পরিবার। মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা কারাগারে থাকা অবস্থায় ৬ এপ্রিল এই শিক্ষার্থীকে মাদরাসার ছাদে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে চার মুখোশধারী। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজসহ ৮ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করলে এ পর্যন্ত ১১ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে সবাইকে ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করলে বিভিন্ন মেয়াদে আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বর্তমানে মামলাটি পিবিআই তদন্ত করছেন। দীর্ঘ ৬ দিন শরীরের ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা নিয়ে বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে মৃত্যুবরন করেন নুসরাত। বৃহস্পতিবার সোনাগাজী সাবের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাযার নামাজ শেষে সন্ধ্যায় পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাদির কবরের পাশে অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকে দাফন করা হয়।