ফেনীর সোনাগাজীতে পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যা চেষ্টায় (পরবর্তীতে হত্যা) দায়েরকৃত এজাহার নামীয় মাদ্রাসা শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শামীম, হাফেজ আবদুল কাদের ও জাবেদ হোসেনসহ ঘটনার পরিকল্পনাকারীরা এখনো ধরা ছোয়ার বাইরে রয়ে গেছেন। এ নিয়ে স্থানীয়রা ও পরিবারের পক্ষ থেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নৃশংস এ হত্যা মামলায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে এজাহার নামীয় ৫জন রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রহমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যাদের পরিকল্পনায় ও ইশারায় নুসরাতের গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে হত্যা করা হয়েছে তারা এখনো আইনের আওতায় আসেনি। যা সত্যি দু:খজনক।
নুসরাতের ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান বলেন, বেশকিছু এজাহার নামীয় আসামী গ্রেফতার হলেও আরো কয়েকজন এখনো গ্রেফতার হয়নি। আর এঘটনায় জড়িত মূল হোতাদের বিচার দাবি করেন তিনি।
এর আগে ২৭ মার্চ সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার আলিম পরিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে নিজ কক্ষে ঢেকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করে।এ ঘটনায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করে শিক্ষার্থীর পরিবার। মামলায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা কারাগারে থাকা অবস্থায় ৬ এপ্রিল এই শিক্ষার্থীকে মাদরাসার ছাদে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে চার মুখোশধারী। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজসহ ৮ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করলে এ পর্যন্ত ১৪ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে ১১জনকে ৭ দিন করে রিমান্ড আবেদন করলে বিভিন্ন মেয়াদে আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। দীর্ঘ ৬ দিন শরীরের ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা নিয়ে বুধবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে মৃত্যুবরন করেন নুসরাত। বৃহস্পতিবার সোনাগাজী সাবের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জানাযার নামাজ শেষে সন্ধ্যায় পৌরসভার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাদির কবরের পাশে অশ্রুসিক্ত নয়নে তাকে দাফন করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআই’র ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান এহাজাহার নামীয় বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।



