স্টাফ রিপোর্টারঃ ফেনীতে বিজিবির ৭০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।এ উপলক্ষে বুধবার জায়লস্করস্থ ৪ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে নানা কর্মসূচী পালিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী।
৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. সহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আমিরুল ইসলাম সিকদার, সরাইলের ডেপুটি রিজিয়ন কমান্ডার কর্নেল মো. আনিসুর রহমান, ফেনী জেলা প্রশাসক মো. ওয়াহিদুজজামান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর (সার্কেল) উক্য সিং,সিভিল সার্জন ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির,অতিরিক্ত জেলা প্রসাশক (রাজস্ব) পিকেএম এনামুল করিম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আক্তার উন নেছা শিউলী,ফেনী সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রহমান বিকম।
এসময় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফেনী পৌরসভার মেয়র হাজী আলা উদ্দিন,প্যানেল মেয়র ও জেলা যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম স্বপন মিয়াজী, পরশুরাম উপজেলা চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেল,দাগনভুইয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম,পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জিএম মিজানুর রহমান,জায়লস্কর ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশীদ মিলন,ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ওসমান হারুন মাহমুদ দুলাল,ফেনী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আবু তাহের প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
পতাকা উত্তোলন, বিশেষ দরবার, প্রীতিভোজ, খেলাধুলা,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও দুই জন বীরশ্রেষ্ঠের পরিবারকে উপহার প্রদানের মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়।
৪ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. সহিদুর রহমান ২০১৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ফেনীতে বিজিবির কর্মকান্ডের বিবরণ তুলে ধরেন। তিনি জানান, ফেনীতে বিজিবি সদস্যরা অভিযান চালিয়ে ৫২ কোটি ৮ লাখ ৫৬ হাজার ১শ ৪৯ টাকা মূল্যের চোরাচালানি মাল আটক করে কুমিল্লা সেক্টরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে।১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে এই ব্যাটালিয়ন প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে ব্যাটালিয়নের বীর সেনানী বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক মুন্সি আবদুর রউফ ও বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ তাদের অমূল্য প্রাণ উৎসর্গ করে বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবে ভূষিত হন। দুইজন বীরশ্রেষ্ঠ হওয়ায় এই ব্যাটালিয়ন ‘বীরশ্রেষ্ঠের ব্যাটালিয়ন’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।