ফেনী
বৃহস্পতিবার, ৩রা জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সন্ধ্যা ৬:০১
, ৭ই মহর্‌রম, ১৪৪৭ হিজরি

সোনাগাজীতে ভাগ্নিকে গণধর্ষণ,মামা-সহ আটক ২

আটককৃত দুই আসামী।

সোনাগাজীতে ভাগ্নিকে মামা (মায়ের সৎ ভাই) ও তার সহযোগীরা গণধর্ষণ  করেছে । এ ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে ধর্ষিতা বাদী হয়ে মামাসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায়  মামলা দায়ের করেন।পুলিশ রাত সাড়ে ৯টার দিকে অভিযান চালিয়ে চরচান্দিয়া গ্রাম থেকে মামা মো. হারুন (৩৮) ও  সহযোগী মো. মাসুম (২৫)কে আটক করে।হারুন দক্ষিণ চরচান্দিয়া গ্রামের হারুন ড্রাইভার বাড়ির সিরাজুল ইসলামের ছেলে ও মাসুম  একই গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে।

সুত্র জানায়, ধর্ষিতা  কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা।কয়েকদিন আগে স্বামীর সঙ্গে তার ঝগড়া হয়।এরপর ওই নারীকে তার স্বামী সোনাগাজী উপজেলায় তার নানার বাড়িতে রেখে যান।ওই নারীর মামা মো. হারুন ও তার শ্বশুর বাড়ি কোম্পানীগঞ্জের চর ফকিরা ইউনিয়নের একই এলাকায়।বিষয়টি জানতে পেরে গত ২৪ এপ্রিল বিকেলে হারুন বিরোধ মীমাংসা করে দিতে ভাগ্নিকে নিয়ে নানা বাড়ি থেকে কোম্পানীগঞ্জের উদ্দেশে রওয়ানা দেন।কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় হারুন তার শ্বশুর বাড়িতে ওই নারীকে রেখে দেন।হারুনের শ্বশুর বাড়িতে দুই দিন থাকার পর ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় মাসুম ও হৃদয় নামে দুজন লোক হারুণের শ্বশুর বাড়িতে যান।

এরপর হারুন তার ভাগ্নিকে বলেন তার স্বামীর সঙ্গে কথা হয়েছে।তাকে ওই বাড়িতে দিয়ে আসতে তৈরি হতে বলেন।রাত ৮ টার দিকে ওই নারীকে নিয়ে হারুনসহ তিনজন অটোরিকশায় করে রওনা হয়।কিছু দূর যাওয়ার পর তারা ওড়না দিয়ে ওই নারীর হাত-পা ও চোখ বেঁধে এবং মুখ চেপে ধরে সোনাগাজী উপজেলার দক্ষিণ চর চান্দিয়া এলাকার একটি পুকুর পাড়ে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।এ সময় তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তারা আবার তাকে গাড়িতে করে হারুনের শ্বশুর বাড়িতে নিয়ে যায়।পথিমধ্যে তার জ্ঞান ফিরে আসলে ঘটনাটি কাউকে বললে তাকে ও তার স্বামীকে হত্যার হুমকি দেন তারা।গৃহবধূর স্বামী পরদিন সকালে লোকজনের  মাধ্যমে জানতে পেরে ওই নারীকে তার মামার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যান।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম  জানান, পুলিশ অভিযুক্ত মামা হারুন ও মাসুমকে রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করেছে,অপর আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo
error: Content is protected !!