সোনাগাজী প্রতিনিধি: ফেনীর সোনাগাজী থেকে এক স্কুলছাত্রীকে (১৪) অপহরণ করে ঢাকার একটি বাসায় আটক রেখে ধর্ষণের অভিযোগে লোকমান হোসেন (২২) নামে এক বখাটেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপহরনের তিনদিন পর ওই ছাত্রীকে শুক্রবার রাতে মহিপাল এলাকার একটি গাড়ী থেকে উদ্ধার করা হয়।
গত বুধবার বিকেলে স্কুলছাত্রীটি বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার ওলামা বাজার এলাকার ফকিরেরপুল নামক স্থান থেকে অপহরনের শিকার হয়। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে বখাটে লোকমান হোসেনকে আসামী করে সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ওশিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
সূত্র জানায়,অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ার পথে লোকমান হোসেন নামের এক বখাটে তাকে নিয়মিত প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। বিষয়টি ছাত্রী তার মা-বাবাকে জানালে তারা বিষয়টি সর্ম্পকে বখাটে লোকমানের অভিভাবকদের অবহিত করলে সে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। এমনকি সে ছাত্রীটিকে অপহরনের হুমকি দেয়। এনিয়ে সামাজিক ভাবে বৈঠক হলে কিছুদিন লোকমান শান্ত থাকে। কিন্তু বুধবার বিকালে ছাত্রীটি স্কুল ছুটি শেষে সোনাগাজী থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে গিয়ে বাড়ির সামনের সড়কে নামে। কিছুদুর যাওয়ার পর পূর্ব থেকে ওঁৎপেতে থাকা লোকমান তাঁর কয়েকজন সহযোগীকে নিয়ে ছাত্রীর গতি রোধ করে। এসময় ছাত্রী চিৎকার দিতে চাইলে লোকমান তার ওষধ মেশানো একটি কাপড় দিয়ে তার মুখ চেপে ধরে অচেতন করে সিএনজি চালিত অটোরিকশা যোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
শুক্রবার রাতে লোকমান ছাত্রীটিকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়ার পথে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ফেনীর মহিপাল এলাকায় মামুন পরিবহন থেকে ছাত্রীটিকে উদ্বার করে এবং পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা কালে বখাটে লোকমানকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসে।সে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছাড়াইতকান্দি গ্রামের বাসিন্দা।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে ও জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তার আসামীকে আদালতের মাধমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।