ফেনী
বুধবার, ২২শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, রাত ২:৪৯
, ২৯শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

রমজানকে সামনে রেখে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছে নঈম খান

পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে দরিদ্র মানুষের নগদ টাকা ও খাদ্য সামগ্রী উপহার দিচ্ছেন এনএনিউজটুয়েন্টিফোর ডটকমকের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও ডেনমার্ক আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং নঈন ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফেনীর ছেলে নঈম উদ্দিন খান।

তিনি বলেন, সিয়াম সাধনা বা রোজা পালন সমাজে সাহায্য-সহযোগিতা, সমবেদনা তথা সহমর্মিতা প্রদর্শনের অন্যতম মাধ্যম।সমাজ জীবনে রোজাদার ধনী-গরিব ব্যক্তি মিলেমিশে ইবাদত করে একত্রে সমাজবদ্ধ হয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান করেন। প্রকৃত রোজাদার সমাজের কাউকে ঠকাতে বা কারও সঙ্গে প্রতারণা করতে পারেন না। রোজাদার কারও অনিষ্ট, অকল্যাণ ও ক্ষতিসাধন করবেন না; বরং মাহে রমজানে সমাজের অসহায়, হতদরিদ্র, দুর্বল, পীড়িত, অসুস্থ, অনাথ, ছিন্নমূল ও প্রাকৃতিক দুর্যোগকবলিত নিরন্ন মানুষের খোঁজখবর রাখবেন, তাদের খাওয়া-পরার ব্যবস্থা করবেন, সেহ্‌রি-ইফতারের আয়োজন করবেন, যথাসম্ভব সাধ্য অনুযায়ী পরোপকারে ব্যস্ত থাকবেন। ধনী-গরিব আপামর রোজাদার এভাবে রোজার মাসে অসাধারণ ত্যাগ-তিতিক্ষার অনুশীলনের মাধ্যমে ইসলামের সাম্য, মৈত্রী, ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধ হন। প্রকৃত রোজাদার ও ইমানদার ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিরা সব সময়ই অসৎ কাজকর্ম থেকে দূরে থেকে বিপদগ্রস্ত অসহায় মানুষের প্রতি পারস্পরিক সহানুভূতি প্রকাশ করেন।

মাহে রমজান ছাডাও করোনা মহামারিতে অসংখ্য মানুষকে নগদ টাকাও খাদ্য সামগ্রী দিয়েছেন তিনি। তিনি সব সময় হত দরিদ্র মানুষকে সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। ফেনীর অনেক দরিদ্র ও মেধাবী ছেলে মেয়েদের পড়া লেখার খরচ চালিয়ে যাচ্ছেন নিরবে। তিনি বেশ কয়েটি মসজিদেও আর্থিক সহায়তা করেছেন।

মাহে রমজানে সমাজের স্থিতিশীলতা, শান্তি, সম্প্রীতি ও নিরাপত্তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব বিদ্যমান। সমাজের প্রত্যেক ধর্মপ্রাণ মানুষ যদি মাহে রমজানের মতো অন্যান্য মাসেও আত্মসংযমের সঙ্গে জাতি-ধর্ম-বর্ণ ও দল–মতনির্বিশেষে সব ধরনের বিরোধ এড়িয়ে যান, তাহলে কোনো রকম সামাজিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় না। তাই সমাজজীবনে পরস্পরের প্রতি সাহায্য-সহযোগিতা, সহানুভূতি ও সহমর্মিতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে এবং সাম্য, মৈত্রী, ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব বন্ধনের ক্ষেত্রে রোজার ভূমিকা অনস্বীকার্য। মাসব্যাপী রোজাদার ধনী লোকেরা গরিবের দুঃখ-কষ্ট এবং অনাহারের জ্বালা মর্মে মর্মে অনুভব করে স্বভাবতই সমাজের অসহায়, হতদরিদ্র ও দুস্থদের প্রতি অত্যন্ত সদয় আচরণ করেন। এ ছাড়া, সারা বছরই হতদরিদ্র ও আর্তমানবতার প্রতি সমবেদনা, সহানুভূতি ও সহমর্মিতা প্রকাশ মাহে রমজানের মহান শিক্ষা।

স্থানীয়রা জানান, ফেনীর কোন দরিদ্র লোক তার কাছে গিয়ে খালি হাতে ফিরে আসেনি । কোথায়ও কোন অসহায় মানুষ অসুস্থ হলে তিনি ছুটে গিয়ে ডাক্তার দেখান তাদের। এমনকি ওষুধ কেনার টাকাও দেন। এছাড়াও সমাজ সেবা মূলক কাজে তার অবদান অনস্বীকার্য।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo
error: Content is protected !!