‘আমি বিশ্বাস করি- যারা আমার ওপর হামলা করেছে তারা জুলাইযোদ্ধাদের কেউ নয়, আন্দোলনকারীদের মাঝে থেকে যারা হামলা করেছে তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা খুঁজে বের করা উচিত।’
বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তার ওপর এ আক্রমণ করা হয়।
এ বিষয়ে মাহফুজ আলম বলেন, ‘একটা নির্দিষ্ট গোষ্ঠী যাদের আমি স্যাবোট্যুর মনে করি তারা এ কাজটি ঘটিয়েছে। তারা আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে আন্দোলন স্যাবোটাইজ করে।’
তিনি বলেন, আমি বিশ্বাস করি- যারা আমার ওপর হামলা করেছে তারা জুলাইযোদ্ধাদের কেউ নয়, আন্দোলনকারীদের মাঝে থেকে যারা হামলা করেছে তাদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা খুঁজে বের করা উচিত।
উপদেষ্টা মাহফুজ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে দ্রুতই প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করবেন। বৈঠকে শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবির বিষয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলনের বিষয়ে সরকার কথা শুনবে। কিছু হলেই যমুনায় চলো, এমন আর হবে না। সরকার কঠোর ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে।
এ সময় জবি ভিসি অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, আমরা মঙ্গলবার শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবি নিয়ে ইউজিসিতে গিয়েছিলাম। ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেছিলেন, তিনি সুযোগ পেলে প্রধান উপদেষ্টার সাথে কথা বলবেন এবং বিষয়টি প্রধান উপদেষ্টার কাছে বলেছেন। ইউজিসির চেয়ারম্যান প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছেন, জবি শিক্ষার্থীরা মানবেতর জীবন যাপন করে। পরে প্রধান উপদেষ্টা ইউজিসি চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ দেন এবং বিষয়টি বিবেচনায় নেয়া হবে বলে জানান।’
এর আগে তিন দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবনমুখী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের বাধা দেয় পুলিশ। পরে শিক্ষার্থীরা কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। অবস্থান কর্মসূচির মধ্যেই বৃষ্টি শুরু হওয়ার পরেও সড়ক ছেড়ে যাননি তারা। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এদিকে শিক্ষার্থীদের বিষয়ে যমুনায় যান বিশ্ববিদ্যালয়টির ভিসিসহ একটি দল। পরে রাতে উপদেষ্টা মাহফুজকে সাথে নিয়ে শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থিত হন জবি ভিসি।