কথা ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নৌকা মার্কা আপনাদের মার্কা। নৌকা উন্নয়নের মার্কা। নৌকা মানুষ, পশুপাখি সবাইকে রক্ষা করে। নূহ নবীর (আ.) সময়েও নৌকা সবাইকে বিপদ থেকে রক্ষা করেছিল। তাই উন্নয়ন ও ধারাবাহিকতা রক্ষায় সবাইকে আবারও নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে।
রোববার বিকালে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত হয়েছে। বিশ্ব দরবারে আমাদের মাথা উঁচু হয়েছে। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন উন্নয়নের ধারাবাহিকতা থাকে।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালে আমরা পুনর্নির্বাচিত হয়েছিলাম বলেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পেরেছি। তা যদি হয় তাহলে সরকারের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে হবে।
একমাত্র আওয়ামী লীগই উন্নয়নের রাজনীতি করে, অন্যরা নয় উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নৌকামার্কায় ভোট দিলে গ্রাম পর্যায়ে উন্নয়ন হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চাঁদপুরের উন্নয়নে আপনাদের কোনও দাবি করা লাগবে না। নৌকা মার্কায় ভোট দেন, আমরা নিজেরাই চাঁদপুরের সব উন্নয়ন করে দেবো। এখানে পর্যটনের প্রচুর সুযোগ আছে। বিশেষ করে পদ্মা ও মেঘনা যেখানে মিলেছে নৌভ্রমণের জন্য এ জায়গা সব থেকে সুন্দর। সেই জায়গাটা দেখতে দেশবাসীকে সুযোগ করে দেব চাঁদপুরে পর্যটন কেন্দ্র হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ানো ডা. দীপুমনিকে দেখিয়ে বলেন, আপনাদের এই জন প্রতিনিধি একজন ডাক্তার। সে আমার কাছে আগেই চাঁদপুরে একটা মেডিকেল কলেজ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। কথা দিয়েছি, চাঁদপুরে মেডিক্যাল কলেজ করে দেবো।
তিনি বলেন, চাঁদপুরের হাইমচরে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হবে। এখানে বিনিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়াও এখানে একটা নৌবন্দর করে দেব।
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, জনগণের দোড়গোড়ায় আমরা চিকিৎসাসেবা পৌঁছে দিয়েছি। আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্ত, বাংলাদেশের একটা মানুষও গৃহহারা থাকবে না। যাদের ঘর নাই, বাড়ি নাই আমরা তাদের বাড়িঘর করে দিচ্ছি। আমরা চাই না দেশের মানুষ ভিক্ষা করে চলুক। এজন্য দেশকে ভিক্ষামুক্ত করার চেষ্টা করছি।
পদ্মা ও মেঘনা নদী তীরবর্তী জেলা চাঁদপুরের মৎস্যজীবী ও জেলেদের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সব মানুষের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। যখন ইলিশ শিকার বন্ধ থাকে তখন আমরা জেলেদের মাসে ৪০ কেজি করে চাল দেই।
শেখ হাসিনা বলেন, আমরা চাই দেশের মানুষের উন্নয়ন। আমরা যা যা ওয়াদা করেছি সব কিছু ঠিকমতো পালন করে যাচ্ছি। ১৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন করতে সক্ষম হয়েছি।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী ২০২১ সালের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী, ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন ও ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত করার অঙ্গীকার করেন।