লোহাগাড়া উপজেলাধীন পুটিবিলার (পূর্ব তাঁতী পাড়া) স্বনামধন্য ব্যক্তি হাজী শফিকুর রহমান মেম্বারকে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা কারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী উঠেছে।শনিবার বিকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে হাফেজ নুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।এসময় শফিক মেম্বারকে হত্যার পরিকল্পনাকারী সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ফজলুল কবির, নুরুজ্জাহান, মোসাদ্দেক হোসেন জুনায়েদসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তারা বলেন, এলাকার চিহিৃত দুঃস্কৃতিকারী ও সন্ত্রাসীচক্র আনোয়ার হোসেন, রবি হোসেন, আব্দুল কাদের, শাহ্ আলম, মোজাফ্ফর আহাম্মদ, রফিক আহাম্মদ, গিয়াস উদ্দিন, মমতাজুর রহমান, ফরিদুল আলম, নেছার উদ্দিন, আলমগীর, মো: দিদার, মো: সারোয়ার, জামাল উদ্দিন গংরা গত ১ মে ভোরে চকিদার “বানু” কে দিয়ে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে ঘন্টা দুয়েক অপহরণ ও হত্যার উদ্দেশ্যে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতনের পর তাদের শিখানো কিছু বক্তব্য দিতে বাধ্য করে।জীবনের ভয়ে তাদের শিখানো মতে সব কিছু বলে ফেলেন তিনি।তখন কতিপয় সন্ত্রাসীরা মোবাইলে এসব বক্তব্য ভিডিও রেকড করে। পরে তা কতিপয় নামধারী কিছু সাংবাদিকদের দিয়ে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন অনলাইনে প্রচার করে, যার কোন সত্যতা ও ভিত্তি নেই। পরে সকাল ৭/৮ টার দিকে থানার ডিউটি অফিসারের সামনে একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ হাজির করলে দায়িত্বরত থানার অফিসার এস.আই জহুরুল ইসলাম বিষয়টি সন্দেহ জনক মনে করে আগ্নেয়াস্ত্র উপস্থাপনকারী আনোয়ার হোসেন, রবি হোসেন, ও আব্দুল কাদেরকে আটক করে।পরবর্তী ডিউটি অফিসার আসার পর আটক ব্যক্তিদেরকে গিয়াস উদ্দিন, ফরিদুল আলম ও সরোয়ার আলম তদবীর করলে পুলিশ অজানা কারণে তাদেরকে ছেড়ে দেয়। এবং হাজী শফিকুর রহমানকে ভাংচুরের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।গত ০৮ মে আদালত জামিন মঞ্জুর করলে ৯ মে চট্টগ্রাম জেলা কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন তিনি।



