গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পলায়নের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ড.ইউনুসের নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মানুষের প্রত্যাশা ছিল ঘুষ,অনিয়ম-দুর্নীতি ও হয়রানি ছাড়াই নাগরিক সেবা মিলবে।কিন্তু মানুষের সে স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করে দিয়ে ঘুষ ও দুর্নীতি ছাড়া সেবা না দিয়ে সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হন ফেনীর সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নুরুন নাহার বুবলী।তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ এনে ৩ মার্চ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই ইউনিয়নের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের সোনাপুর বাদামতলী গ্রামের বাসিন্দা বাহরাইন প্রবাসী জামশেদ আলমের জন্মনিবন্ধন করার আগে ২০০৭ সালে পাসপোর্ট হয়ে যায়।পরবর্তীতে জন্মনিবন্ধনের অনলাইনে ভুল থাকায় পাসপোর্ট অনুযায়ী সংশোধন করতে ইউনিয়ন পরিষদের দ্বারস্থ হন।তখন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নুরুন নাহার বুবলী ওই প্রবাসীর নিকট ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন।
এদিকে সফরপুর সাহেবের হাট এলাকার জার্মান প্রবাসী মাঈন উদ্দিনের জন্ম নিবন্ধন বয়স সংশোধন বাবদ তার নিকট থেকে ৩৫ হাজার টাকা ও আব্দুল্লাহ নামক জনৈক ব্যক্তি থেকে ১২ হাজার টাকা ঘুষ নেন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
এছাড়া তার বিরুদ্ধে প্রকল্পের অর্থ আত্নসাত এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ ও সংশোধন, মৃত্যু সনদ, নাগরিকত্ব সনদ, ট্রেড লাইসেন্স, বিভিন্ন ভাতা ও টিসিবিসহ পরিষদের সেবামূলক কার্যক্রমে চাহিদা মোতাবেক ঘুষ না দিলে নানাভাবে হয়রানি করার অভিযোগ রয়েছে।
এনামুল হক নামে এক ভুক্তভোগী জানান, পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নুরুন নাহার বুবলীর স্বামী সোনাগাজী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ছিলেন।ফলে বুললির ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তখন কেউ ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।কিন্তু আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পরেও বুলবীর অপকর্ম বন্ধ হয়নি।
অভিযোগের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নুরুন নাহার বুবলী জানান,স্থানীয় বিএনপির কিছু নেতাকর্মী অন্যায় আবদার করে সুবিধা করতে না পেরে মিথ্যা অভিযোগ ও ষড়যন্ত্র করছে।তদন্তে অভিযোগ মিথ্যা প্রমানিত হবে বলে দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার বিভাগ ফেনীর উপ-পরিচালক গোলাম মো: বাতেন জানান, অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



