ফেনী
বৃহস্পতিবার, ২৩শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, দুপুর ২:৪৮
, ৩০শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি
শিরোনাম:

এমপিদের প্রতি শেখ হাসিনা-আমরা ভোট চুরির বদনাম নিতে চাই না

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনে জনগণ ভোট দেবে। ভোট চুরি, ভোট ডাকাতি করে কেউ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। নির্বাচন যেন স্বচ্ছ হয়, কেউ যেন নির্বাচন নিয়ে কথা বলতে না পারেন। আমরা ভোটচুরির বদনাম নিতে চাই না। জনগণের মন জয় করে তাদের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় আসতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে শনিবার দুপুরে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। আগামী নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে দলের সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের জনগণ খুবই হিসাবি। কেউ দুর্নীতি করলে তারা তা ভুলে যায় না। মানুষের চোখ খুলে গেছে। সময় খুব বেশি নেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রার্থী হওয়ার অধিকার সবারই আছে। কিন্তু প্রার্থী হতে গিয়ে দলকে বদনামে ফেলবে, এটা কোনোমতেই মেনে নেওয়া হবে না। এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। সরকারের উন্নয়নের কাজগুলোর কথা না বলে কোথায় কার বিরুদ্ধে কী দোষ আছে, সেটা খুঁজে জনগণকে যারা বলবেন—তারা কখনো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন না। তিনি বলেন, ‘একটি বিষয় লক্ষ করছি, কেউ কেউ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে প্রার্থী হয়ে গেছেন। প্রার্থী হয়ে তারা বিএনপির লুটপাট-সন্ত্রাসের কথা বলেন না। তাদের বক্তব্যে এসে যায় আমার আওয়ামী লীগের এমপির বিরুদ্ধে, সংগঠনের বিরুদ্ধে।’

জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, প্রার্থী হওয়ার অধিকার সবারই আছে। কিন্তু প্রার্থী হতে গিয়ে দলকে বদনামে ফেলবে, এটা কোনোমতেই মেনে নেওয়া হবে না। এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে। সরকারের উন্নয়নের কাজগুলোর কথা না বলে কোথায় কার বিরুদ্ধে কী দোষ আছে, সেটা খুঁজে জনগণকে যারা বলবেন—তারা কখনো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাবেন না। এটা পরিষ্কার কথা। তিনি বলেন, ‘আমি এগুলো কিন্তু রেকর্ড করছি। যারা দলের বিরুদ্ধে বদনাম করবে সে কী বোঝে না যে, এতে তার ভোটও নষ্ট হবে। ১০ বছর সরকারে থাকার পর যদি কেউ দলের বিরুদ্ধে বদনাম করে, তাহলে জনগণ তো তাকেও ভোট দেবে না। এটা হলো বাস্তবতা।’

এ সময় দলের সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একটা কথা মনে রাখতে হবে, দেশের জনগণ কিন্তু খুবই হিসাবি। কেউ দুর্নীতি করলে তারা তা ভুলে যায় না। কাজ করতে গিয়ে টাকা দেবে আর ভোট চাইতে গেলে বলবে টাকা দিয়ে কাজ নিছি ভোট দেব কেন? জনগণের চোখ কিন্তু খুলে গেছে। সময় খুব বেশি নেই। পুরোনো কেউ নমিনেশন পাবেন কিনা তা নির্ভর করবে আপনার এলাকায় কতটুকু জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারলেন আর কতটুকু তৃণমূলকে মূল্যায়ন করলেন, তার ওপর। কাজেই বলব দুঃসময়ের যারা নেতা-কর্মী, যারা দুঃসময়ে দলের হাল ধরে রাখে, তারা যেন অবহেলিত না হয়।’

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo
error: Content is protected !!