কথা ডেস্ক: বরিশালে মাদ্রাসার জমি দখলে বাধা এবং পরিচালনা পর্ষদে জায়গা না পেয়ে প্রধান শিক্ষককে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এ সময় তার মাথায় মল ঢেলে হত্যার হুমকিও দেয়া হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে গেছে।
বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রঙ্গশ্রী ইউনিয়নে শুক্রবার সকালে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ভুক্তভোগী আবু হানিফ কাঁঠালিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক।
এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষক আট জনকে আসামি করে মামলা করার পর মঞ্জু হাওলাদার নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আবু হানিফ বলেন, ‘১১ তারিখ সকালে ফজরের নামাজ পড়ে সাত টার দিকে হাঁটতে বের হয়েছিলাম। তখন জাহাঙ্গীর মৃধা ও মাসুম সরদারের নেতৃত্বে অনেকে মিলে আমাকে রাস্তায় আটকে লাঞ্ছিত করে। সামাজিকভাবে আমাকে অসম্মানিত করার জন্য ওরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।’
ফেসবুকে ছড়িয়ে পরা ভিডিওতে দেখা গেছে, আবু হানিফ রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন। কয়েকজন তার পথ রোধ করে। এরপর একজন তার মাথার টুপি ও কাঁধের রুমাল খুলে নেয়। তখন আবু হানিফ তার মোবাইল ফোন বের করলে একজন এসে ফোনটি কেড়ে নেয়। অন্য আরেকজন তার হাত চেপে ধরে রাখে। তারপর পলিথিনে পেঁচানো একটা হাঁড়ি বের করে সেখান থেকে মলমূত্র ঢেলে দেয় হানিফের মাথায়।
এসময় তাকে হুমকি দিয়ে বলা হয়- ‘এইয়া নিয়া যদি বাড়াবাড়ি করো তাহলে তোর জীবন শেষ হইয়া যাইবে’। এরপর তাকে গালাগালি করে স্থান ত্যাগ করতে বলা হয়।
আবু হানিফ বলেন, ‘তারা মাদ্রাসার জমি দখল করার চেষ্টা করছিল। এই চক্রটি নানাভাবে বিনা অনুমতিতে মাদ্রাসার জমিতে বিভিন্ন কার্যক্রম করে আসছিল। আমি এতে বাধা দিই। এ নিয়ে মামলাও চলছে। আমি মামলার বাদী। এ কারণে ওরা আমার ওপর ক্ষিপ্ত।’
‘সেই সঙ্গে মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদেও এই দলের লোক জাহাঙ্গীর জায়গা পায়নি। সভাপতি হয়েছেন এখানকার সংসদ সদস্যের মনোনীত ব্যক্তি। এসব কারণে ওরা ক্ষেপে আমাকে নির্যাতন করেছে।’
বাকেরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাসুদুজ্জামান জানান, মামলার পর একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের চেষ্টা চলছে। তবে তদন্তের স্বার্থে আসামিদের নাম বলতে রাজি হননি এই পুলিশ কমর্কর্তা।