সোনাগাজী প্রতিনিধি: সোনাগাজীতে এক মাদরাসা ছাত্রীকে ৮দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে বখাটে সেলুন দোকানী বিপ্লব চন্দ্র দাস।উপজেলার দক্ষিণ পূর্ব চর চান্দিয়া গ্রামের পুলের গোড়া নামক স্থান থেকে ছাত্রীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে। বৃহস্পতিবার রাতে নোয়াখালীর সুবর্ণ চর এলাকার একটি বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।ঘটনাস্থল থেকে বিপ্লব চন্দ্র দাসকে (২২)গ্রেফতার করে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
সূত্র জানায়,অপহরণ ও ধর্ষণের শিকার মাদরাসা ছাত্রী উপজেলার একটি বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণিতে পড়ত। দীর্ঘদিন ধরে মাদরাসায় আসা-যাওয়ার পথে বিপ্লব নামের বখাটে তাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি ছাত্রী তার মা-বাবাকে জানায়। তারা বিপ্লবের অভিভাবকদের কাছে এর প্রতিকার চান। কিন্তু পরিবারের কাছে অভিযোগ করার পর সে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে।
সর্বশেষ বৃহস্পতিবার সকালে ছাত্রীটি বাড়ি থেকে মাদরাসায় যাওয়ার পথে কয়েকজন সহযোগীসহ তাকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে যায় বিপ্লব। এসময় এ মাদরাসা ছাত্রী চিৎকার করলে বিপ্লব ওড়না দিয়ে মুখ চেপে ধরে অচেতন করে সিএনজি চালিত অটোরিকশায় তোলে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকালে অপহৃতার মা বাদি হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন। শনিবার সকালে ফেনী সদর হাসাপাতালে ওই ছাত্রীর ডাক্তারী ও বয়স নির্ধারনী পরীক্ষা করানো হয়ে। বখাটে বিপ্লব দক্ষিণ পূর্ব চরচান্দিয়া এলাকার বাসিন্দা।
সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন,গ্রেফতারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত বিপ্লব চন্দ্র দাস।ছাত্রীকে চট্টগ্রামের এক বাসায় পাঁচদিন আটকে রাখার পর পুলিশি গ্রেফতার এড়ানোর লক্ষে সোমবার রাতে তাকে নোয়াখালীর সুবর্ণ চর এলাকার এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে যায় বিপ্লব। সেখানে একটি ঘরে আটকে রেখে মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।বৃহস্পতিবার রাতে তাকে উদ্ধার করা হয়। এসময় পালানোর চেষ্টাকালে বখাটে বিপ্লব চন্দ্র দাসকে গ্রেফতার করা হয়। ওই বাড়ির একটি কক্ষে প্রায় অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় ছাত্রীটিকে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়।
