মানুষের যেমন দেহ এবং রুহ আছে, তেমনি দুনিয়ারও দেহ এবং রুহ আছে। দুনিয়ার দেহ আসমান আর জমিন রুহ হলো বাতাস। দুনিয়ার রুহ এখন ক্রান্তিকাল পার করছে করোনা ভাইরাসের কারণে। সবকিছু স্থবির হয়ে আছে। এরই মধ্যে ধর্ম মন্ত্রনালয় মসজিদে ১২ শর্তে নামাজ আদায়ের অনুমতি দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে মসজিদে ইতিকাফে পাঁচ জন মুসুল্লি অংশ নিতে পারবেন বলে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদের স্বাস্থ্য বিধি মেনে ইতিকাফে অংশ নিতে হবে। আজ ২০ রমজান পার হচ্ছে। যারা ইতিকাফে বসবেন তাদের প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে।
কাল থেকে ঈদের চাঁদ দেখা না যাওয়া পর্যন্ত ইতিকাফ পালন করবেন তারা। মহান রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেন, আর আমি হযরত ইব্রাহিম (আ.) ও ঈসমাইল (আ.) কে দায়িত্ব দিয়েছিলাম- তোমরা আমার গৃহকে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও রুকুকারী ও সিজদাকারীদের জন্য পবিত্র কর। (সুরা বাকারা-১২৫) ।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন, নবী করিম (সাঃ) রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করতেন। (বোখারী শরীফ-১৯২১, মুসলিম শরীফ- ১১৭১)। হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত- নবী করিম (সাঃ) ইন্তেকাল পর্যন্ত রমজানের শেষ দশক ইতিকাফ করতেন। অতঃপর তার স্ত্রীগণ তার পরবর্তীতে ইতিকাফ করেছেন। (বোখারী শরীফ- ১৯২২, মুসলিম শরীফ- ১১৭২) ।
রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফ করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। ইতিকাফের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করে বান্দা। মসজিদ ছাড়া ইতিকাফ শুদ্ধ নয়। পাঞ্জেগানা মসজিদে ইতিকাফ শুদ্ধ। হযরত আয়েশা (রা.) বলেন, ইতিকাফকারীর জন্য সুন্নত হচ্ছে রোগী দেখতে না যাওয়া, ইতিকাফকারীর মসজিদ ছাড়া জানাজায় হাজির না হওয়া। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বের না হওয়া। আবার রোজা ছাড়া ইতিকাফ শুদ্ধ নয়। অনুরূপভাবে জামে মসজিদ ছাড়া ইতিকাফ শুদ্ধ নয়। (আবু দাউদ শরীফ ২৪৭৩, দারে কুতনী ২/২০১)।