ফেনীর সোনাগাজী উপজেলা যুবলীগের সদস্য ছেরাজুল হক সবুজ (৩৭)কে রাজনৈতিক দ্বন্ধের জেরে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন পরিবার।শনিবার সকালে ফেনী রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে সবুজের স্ত্রী লূৎফুর নাহার অভিযোগ করে বলেন , মঙ্গলকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন বাদলের সাথে রাজনৈতিক দ্বন্ধের কারনে সবুজকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরে আটক হওয়ার ৪দিন আগে বাড়ীর সামনে আমার স্বামীকে হত্যার চেষ্টা করেছিল বাদল চেয়ারম্যান ও তার সহযোগীরা। ব্যর্থ হয়ে ৪দিন পর বাদল চেয়ারম্যান ও সোনাগাজী থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম যোগসাজস করে ১০মে রাতে আমার ঘরে হামলা করেন। এ সময় আমার স্বামীকে ব্যপক মারধর করে থানায় নিয়ে যান। সারারাত থানায় পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। পরদিন সকালে গুরুতর আহতাবস্থায় একটি পিস্তল, একটি পাইপগান ও ৫০পিছ ইয়াবা উদ্ধার দেখিয়ে ১০টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোর্টে চালান করেন।
পরদিন রাতে বাড়ীতে এসে আমি এবং আমার পরিবারের সবাইকে গ্রামছাড়ার হুমকি দেয় ওসি ও চেয়ারম্যান বাদল। আমার পরিবারের সবাইকে সবুজের মামলা পরিচালনা করতে বারন করে এবং আরো ১০টি মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দেয়। সে থেকে আমি গ্রাম ছাড়া হয়ে আমার বাপের বাড়ীতে অবস্থান করছি। ওই বাদল চেয়ারম্যান এর আগেও থানা পুলিশ ম্যানেজ করে আমার স্বামীকে অস্ত্র ও মাদক মামলায় ফাঁসিয়েছে।
তিনি পরিবারের নিরাপত্তা ও স্বামীর মুক্তির জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সংবাদ সম্মেলনে সবুজের মেয়ে সিদরাতুল মুনতাহা ও লুৎফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মোশারফ হোসেন বাদল চেয়ারম্যান বলেন, সবুজের সাথে আমার ব্যাক্তিগ কোন দ্বন্ধ নেই। পুলিশ অস্ত্র ও মাদক সহ আটক করেছে,এতে আমার সম্পৃক্ততা থাকবে কেন?
এ ব্যপারে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি সাজেদুল ইসলাম বলেন, তার বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। হুমকি দেয়ার বিষয়ে ওসি বলেন, কারাবন্দি আসামীর পরিবারকে হুমকি দেয়ার প্রশ্নই আসেনা।