ফেনী
বুধবার, ২২শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৬:২৫
, ২৯শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

নুসরাতের গায়ে কেরোসিন দেয় জাবেদ ও বুক চেপে ধরে মনি

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে আসামী কামরুন্নাহার মনি ও জাবেদ হোসেন। শনিবার ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সরাফ উদ্দিন আহমেদের আদালতে হাজির হয়ে এ জবানবন্দি দেন তারা। শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু হয়ে ১০টায় জবানবন্দি দেয় তারা।
আদালতে তারা স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দিতে ঘটনার সময় কার কি ভুমিকা তা স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে বলে জানান পিবিআই চট্রগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো: ইকবাল।

জবানবন্দিতে মনি জানান, সে নুসরাত জাহান রাফিকে শোয়া অবস্থায় বুক চেপে ধরেছে।যাতে সে নাড়া ছাড়া করতে না পারে। এ ছাড়া ঘটনার সাথে সে সম্পৃক্ত ছিলো।

জবানবন্দিতে জাবেদ জানান, রাফির গায়ে সে কেরোসিন ঢেলে দেয় এবং ঘটনার পরিকল্পনার সাথেও সে জড়িত ছিলো বলে আদালতকে জানিয়েছে।

মনি রাফির সহপাঠী। ১৭ এপ্রিল মণিকে ৭ দিনের রিমান্ড দেয় আদালত। এর আগে ১৫ এপ্রিল সোনাগাজী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জাবেদ হোসেনের ৭ দিনের রিমান্ড শেষে গত শুক্রবার একই আদালতে আরো ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হলে শনিবার আদালতে জবানবন্দি দেন।এর আগে জাবেদকে ১৩ এপিল চট্টগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।এ মামলায় এজাহারভূক্ত ৮ আসামীসহ মোট ২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, আবদুর রহিম শরিফ, হাফেজ আবদুল কাদের ও উম্মে সুলতানা পপি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। তাঁরা ৫ জনই রাফি হত্যাকান্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে চঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেছে।
এদিকে এ হত্যাকান্ডে গ্রেফতার হওয়া এজাহারভুক্ত আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীমের জবানবন্দিতে জাবেদ ও কামরুন নাহার মনির নাম উঠে আসে।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo
error: Content is protected !!