ফেনী
মঙ্গলবার, ২১শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, বিকাল ৩:৩১
, ২৮শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

ফেনীতে কোরবানীর পশুর হাটে দেশী গরুর চাহিদা বেশী

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে ফেনীর বিভিন্ন স্থানে পশুর হাটে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লেগেই আছে। জমে উঠেছে কোরবানী পশু বেচা-কেনার বাজার। এবার হাটগুলোতে বিদেশী গরুর চেয়ে দেশী গরুর চাহিদা অনেক বেশি লক্ষ্য করা গেছে। বিক্রিয়ও হচ্ছে বেশি দেশী গরু। গরুর পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে মহিষ, ভেড়া ও ছাগল।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলায় ৩৮টি কোরবানীর পশুর হাটের মধ্যে ৩২টি হাট স্থায়ী ও ৬টি অস্থায়ী। এই পশুর হাট ইজারা দিয়ে সরকার আয় করেছে প্রায় চার লাখ টাকা।
বুধবার বিকালে সরেজমিনে দেখা যায়, ফেনী পৌরসভার মালেক মিয়ার বাজারে বসানো হয়েছে পশুর হাট। এর আগের দিন জেলার সর্ববৃহৎ পাঁচগাছিয়া বাজারে বসেছে পশুর হাট। হাটে শেষ সময়ে আরও বেচাকেনা আরও বাড়বে বলে আশাবাদী ইজারাদাররা।

সোনাগাজী মো. ছাবের সরকারী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের হাট ইজারাদার বেলাল হোসেন বলেন, পৌর শহরের এই হাটে এবার বিদেশ থেকে আমদানি করা গরুর উপস্থিতি অনেক কম। হাটে নেপালী, অষ্ট্রেলিয়ান, মিয়ারমার ও ভারতীয় জাতের গরুর উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলেও দেশী গরুই বেশি পছন্দ ক্রেতাদের। এছাড়া হাটে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়া হয়েছে। বাজারগুলোতে গরুর পাশাপাশি মহিষ, ভেড়া, ছাগলও বিক্রির জন্য উঠানো হয়েছে।
উপজেলার চর মজলিশপুর ইউনিয়নের ঈদগা এলাকার খামারী সাইফুল ইসলাম জানান, তার খামার থেকে ৩৬টি গরু বাজারে বিক্রি করার জন্য এনেছেন। প্রতিটি গরুর মূল্য এক থেকে দুই লাখ টাকা দাম হাঁকিয়েছেন। দুইটি গরু একলাখ ত্রিশ হাজার টাকা করে বিক্রি করেছেন।
মো. সেলিম হোসেন নামে আরেক খামারী বলেন, তিনি পৌর বাজারে তিনটি দেশীয় জাতে ষাঁড় নিয়ে এসেছেন। এর মধ্যে একটি গরু একলাখ চল্লিশ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।

উপজেলার মতিগঞ্জ বাজার এলাকার খামারী রিয়াজ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, তার খামারে বঙ্গ ফিজিয়ান নামে বেশ কয়েকটি গরু আছে। প্রতিটি গরু ২৬-২৭মণ। গরুগুলোরে দাম হাকিয়েছেন ১৪-১৫লাখ টাকা। সোনাগাজীতে এত বড় গরু কেনার ক্রেতা না পেয়ে গরুগুলো তিনি চট্টগ্রামের বাজারগুলোতে নিয়ে গেছেন।

প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, সরকারী ভাবে পশুর হাটগুলোতে পশুর রোগ ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে।

ফেনী পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী পিপিএম-বিপিএম বলেছেন, জেলা ব্যপী লোকজন যাতে করে সুন্দর ভাবে ঈদুল আযহা উদযাপন করতে পারে ও কোরবানীর পশু কিনে নির্বিঘ্নে বাড়ী যেতে পারে সেলক্ষ্যে উপজেলার হাট বাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ছিনতাই-চাঁদাবাজি রোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo
error: Content is protected !!