সোনাগাজীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফী হত্যা মামলায় দুই সহপাঠির স্বাক্ষগ্রহণ করেছে আদালত। রোববার বিকালে ফেনীর বিচারক হাকিম মো. জাকির হোসাইনের আদালতে হাজির হয়ে তারা স্বাক্ষ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. শাহ আলম। তবে স্বাক্ষীদের নিরাপত্তার সাথে তাদের নাম-পরিচয় জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
গত ২৭ মার্চ মাদরাসার আলিম পরিক্ষার্থী রাফীকে নিজ কক্ষে ঢেকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে রাফীর পরিবার মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সিরাজ উদদৌলা কারাগারে থাকা অবস্থায় ৬ এপ্রিল রাফীকে মাদরাসার ছাদে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে মুখোশধারীরা।
এ ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামী করে নুসরাতের ভাই নোমান থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার এজাহারভুক্ত আসামীসহ ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই। ২১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, আবদুর রহিম শরিফ, হাফেজ আবদুল কাদের, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন্নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহাম্মদ ও অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। তাঁরা ৯ জনই রাফী হত্যাকান্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে চঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেছে।