ফেনী
বুধবার, ২২শে অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সকাল ৬:২৫
, ২৯শে রবিউস সানি, ১৪৪৭ হিজরি

নুসরাত হত্যায় পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলো রানা-মামুন

ফেনীর সোনাগাজীতে মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফী হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন আসামী ইফতেখার হোসেন রানা ও এমরান হোসেন মামুন। সোমবার বিকালে ফেনীর বিচারিক হাকিম মো. জাকির হোসাইনের আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়। পরে পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ইকবাল জানিয়েছেন, রাফী হত্যার মূল পরিকল্পনায় ইফতেখার হোসেন রানা ও এমরান হোসেন মামুন জড়িত ছিলো বলে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। জবানবন্দিতে তারা জানিয়েছেন, রাফীকে হত্যার পরিকল্পনায় ৪ এপ্রিল মাদ্রাসার আবাসিকে হাফেজ আবদুল কাদেরের কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় তারাও উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ঘটনার দিন মাদরাসা ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করাসহ হত্যায় অংশ নেয়াদের নিরাপদে বের হয়ে যেতে সহযোগিতা করেছেন।
এর আগে বিকালে ইফতেখার হোসেন রানা ও এমরান হোসেন মামুনেকে আদালতে হাজির করে পিবিআই। বিকাল তিনটা থেকে বিচারক তাদের জবানবন্দি রেকর্ড শুরু করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শেষ করেন বলে জানিয়েছেন পিবিআই।

এর আগে ২০ এপ্রিল রাঙ্গামাটি টিঅ্যান্ডটি এলাকার একটি বাড়ী থেকে ইফতেখান হোসেন রানা ও কুমিল্লার পদুয়ার বাজার এলাকা থেকে এমরান হোসেন মামুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে ২ মে দুইজনকে বিচারিক হাকীম মো. জাকির হোসাইনের আদালতে তাদের হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাদের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গত ২৭ মার্চ মাদরাসার আলিম পরিক্ষার্থী রাফীকে নিজ কক্ষে ঢেকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে রাফীর পরিবার মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সিরাজ উদদৌলা কারাগারে থাকা অবস্থায় ৬ এপ্রিল রাফীকে মাদরাসার ছাদে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে মুখোশধারীরা। এ ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামী করে নুসরাতের ভাই নোমান থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার এজাহারভুক্ত আসামীসহ ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই। ২১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, আবদুর রহিম শরিফ, হাফেজ আবদুল কাদের, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন্নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহাম্মদ ও অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। তাঁরা ৯ জনই রাফী হত্যাকান্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে চঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেছে।

ট্যাগ :

আরও পড়ুন


Logo
error: Content is protected !!