ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যায় ব্যবহৃত আরো একটি বোরকা উদ্ধার করেছে পিবিআই।শনিবার দুপুরে আসামী শাহাদাত হোসেন শামীমের স্বীকারোক্তি মতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদসার পুকুর থেকে এটি উদ্ধার করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলম জানিয়েছেন,রাফী হত্যা মামলার ৩নম্বর আসামী শাহাদাত হোসেন শামীমকে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে তার দেখানো মাদরাসার পুকুর থেকে একটি বোরকা উদ্ধার করা হয়। হত্যাকান্ডের সময় শামীম এ বোরকাটি ব্যবহার করেছে। এদিকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার শাহাদাত হোসেন শামীম ও জাবেদ হোসেনকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ধ্রুব জ্যোতি পালের আদালতে তোলা হয়। আদালত তাদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তাদের দুইজনকে ৭ দিনের রিমান্ড চাইলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইন তাদের দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
গত ২৭ মার্চ মাদরাসার আলিম পরিক্ষার্থী রাফীকে নিজ কক্ষে ঢেকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার যৌন নিপীড়নের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলার বিরুদ্ধে রাফীর পরিবার মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সিরাজ উদদৌলা কারাগারে থাকা অবস্থায় ৬ এপ্রিল রাফীকে মাদরাসার ছাদে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করে মুখোশধারীরা। এ ঘটনায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো কয়েকজনকে আসামী করে নুসরাতের ভাই নোমান থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার এজাহারভুক্ত আসামীসহ ২৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও পিবিআই। ২১ জনের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামীদের মধ্যে নুর উদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামীম, আবদুর রহিম শরিফ, হাফেজ আবদুল কাদের, উম্মে সুলতানা পপি, কামরুন্নাহার মনি, জাবেদ হোসেন, জোবায়ের আহাম্মদ ও অধ্যক্ষ সিরাজ উদদৌলা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। তাঁরা ৯ জনই রাফী হত্যাকান্ডে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করে চঞ্চল্যকর তথ্য প্রদান করেছে।



