শহর প্রতিনিধি-ফেনীতে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টি ও আইসিএসটির ভাবমূর্তি নষ্ট করতে কিছু কুচক্রি ও স্বার্থান্বেষী মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ইনস্টিটিউট অব কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি (আইসিএসটি)। সোমবার রাতে শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ আরিফ আল মাহমুদ।
তিনি জানান, আইসিএসটির হোস্টেলের ৩য় তলায় পেয়ার আহম্মদ মজুমদার, মো: মোস্তাফিজুর রহমান ও সুকান্ত বড়ুয়া থাকতেন। ২৭ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শিক্ষক পেয়ার আহম্মদ মজুমদারের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে আমি ছুটে যাই।
তাদের ভাষ্যমতে জানতে পারি, ‘পেয়ার আহম্মদ মজুমদার সকালে ঘুম থেকে উঠে গোসল করেন। এরপর তার ভেজা লুঙ্গি বিছানার উপর থেকে দাঁড়িয়ে রুমে কাপড় শুকানোর পাইপে শুকাতে দিচ্ছিলেন। তখন অন্য দু’জন শিক্ষক বিছানায় শুয়ে ছিলেন। হঠাৎ করে পেয়ারের গোঙ্গানির শব্দ করে বলেছিলেন আমাকে ধরেন। সুকান্ত বড়–য়া বিছানা ছেড়ে পেয়ারকে ধরতে যান। এসময় মোস্তাফিজুর রহমানও বিছানা ছেড়ে উঠে পড়েন। সুকান্ত বড়–য়াও তখন ঝাকুনি অনুভব করেন এবং ধারনা করেন হয়তো ইলেক্ট্রিক শকে এরকম হচ্ছে। তাই তিনি বিদ্যুতের সার্কিট ব্রেকার বন্ধ করতে করিডোরে যান। এসময় দাঁড়ানো অবস্থা থেকে রুমের মেঝেতে পড়ে যান পেয়ার মজুমদার। অবস্থার উন্নতি না দেখে কয়েকজন ছাত্র ও শিক্ষক হাসপাতালে নিয়ে যান।
পরবর্তীতে শিক্ষক ওমর ফারুকের মাধ্যমে তার পরিবারকে মৃত্যুর খবর জানানো হয়। আমি তার পরিবারকে পোস্টমর্টেম সহ যাবতীয় সহযোগিতা করি।’ বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির চেষ্টা চালাচ্ছে অভিযোগ করে অধ্যক্ষ আরিফ আল মাহমুদ বলেন, কেউ যদি অপরাধ করে থাকে তবে তাকে অপরাধের শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে কিন্তু সেটা আইন অনুযায়ী।
অধ্যক্ষের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার জানামতে রোহিঙ্গা প্রসঙ্গ নিয়ে তাদের মধ্যে কোন দ্বন্ধ ছিল না। এ ব্যাপারে কোন মিডিয়ার সাথে কোন কথাই হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে সিভিল বিভাগের শিক্ষক আওলাদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন