ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতাল থেকে বুধবার দুপুরে ১১ দালালকে আটক করেছে র্যাপিড এ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র্যাব-৭)। এদের ৭ জনকে কারাদন্ড ও ৪ জনকে অর্থদন্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নূরেরজামান চৌধুরী।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে ফেনী প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকের দালাল চক্রের হাতে রোগীরা জিম্মি হয়ে আছে। রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসলে পরীক্ষার জন্য তাদের নিজস্ব ক্লিনিকে নিয়ে যায় এবং তাদের নিজস্ব ফার্মেসী থেকে ঔষধ ক্রয়ের জন্য রোগীদের কাছ থেকে প্রেসক্রিপশন নিয়ে যায়। এসব বিষয়ে রোগীরা প্রতিবাদ করলে দালাল চক্রের হাতে হয়রানির শিকার হন। ডা. হাসান শাহরিয়ার কবির সিভিল সার্জন ও ফেনী সদর হাসপাতালে তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে দায়িত্ব পালনকালে দালালমুক্ত করতে সক্ষম হন। তিনি চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) পদোন্নতি পেয়ে বদলী হলে সদর হাসপাতাল আগের চেহারায় ফিরে আসে। সাম্প্রতিক সময়ে দালালদের উৎপাতে রোগীরা অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে। এমনকি হাসপাতালের সিটও দালাল চক্র দখল করে রাখে। টাকার বিনিময়ে রোগীদের কাছে সিট বিক্রি করে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার সকালে হাসপাতালে র্যাবের সহকারি পরিচালক মো: জুনায়েদ জাহেদীর নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালিয়ে ১১ দালালকে হাতেনাতে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ফেনী শহরের বারাহীপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে আফসার (৪০), মজলিশপুর গ্রামের মো: শাহজাহানের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন (১৬), পরশুরামের নোয়াপুর গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে ফিরোজ (৫০), ফুলগাজী উপজেলার বশিকপুর গ্রামের মৃত জাফর আহম্মদের ছেলে নয়ন (৩৫), একই উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের মৃত নুর আহম্মদের ছেলে মো: শরীফ (৫০), শ্রীচন্দ্রপুর গ্রামের উত্তম মজুমদারের ছেলে টুটুল মজুমদার (২৭) ও কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের মো: মিলনের ছেলে সুজন (২০) কে ১৫দিন করে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া দাগনভুঞা উপজেলার গজারিয়া বাজার এলাকার শফিউল্লাহর ছেলে তৌফিকুল ইমলাম (২৮), চট্টগ্রামের হাটহাজারী রহিল্লাপুর এলাকার আবু তাহেরের ছেলে আনোয়ার পারভেজ (৩০), নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার দক্ষিন মোহাম্মদপুর গ্রামের মৃত আবদুস সোবহানের ছেলে ফারুক আহমেদ (৪০) ও ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে আবু সালমানকে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।



