ছাগলনাইয়া প্রতিনিধি: ছাগলনাইয়া রাধানগর ইউনিয়নের পশ্চিম মধুগ্রামে নিখোঁজের ৬ দিন পর সেফটি ট্যাংক থেকে সাবেক সেনা সদস্যে আবুল কালামের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ১ দিনের মাথায় হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। নিহত কালামের পুত্র হাসান ও তিন বন্ধু মিলেই এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।
শুক্রবার মধ্যরাতে ছাগলনাইয়া থানায় সাংবাদিকদের সামনে হাসান রোমহর্ষক এই হত্যাকান্ডের বর্ননা দিলে এই রহস্য উঠে আসে।
এসময় হাসান নিজ মুখে বাবা হত্যার আসল কারন বর্ণনায় বলেন, গত ৪ জানুয়ারি রাত ৯ টার পর চার বন্ধু একত্রিত হয়ে আবুল কালামকে ভয় দেখানোর জন্য একটি পাইপ দিয়ে আঘাত করে। তখন তার বাবা পড়ে যায় এবং অজ্ঞান হয়ে যান। পরে যখন বুঝতে পারে তার বাবা মারা গেছে তখন হাসান ও তার বন্ধুরা গভীর রাতে বাবার মৃতদেহ তাহার চাচার সেপ্টি ট্যাংকির ভিতরে ফেলে দেয়।
তবে, ছেলে হাসান জানায়, বাবাকে হত্যা করার উদ্দেশ্য ছিল না। মা ও ছোট ছোট ভাই বোনদের সাথে বাবা খারাপ আচরণ করতো এবং কারনে অকারনে পরিবারের সবাইকে তার বাবা অমানুষিক মারধর করত। বাবাকে শিক্ষা দিতে চেয়েছিল, কিন্তু সামান্য আঘাতে মরে যাবে তা ভাবেনি ছেলে হাসান। এই ঘটনায় জড়িত চারজনের মধ্যে দুইজনকে গ্রেফতার করেছে।বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ছাগলনাইয়া থানার ওসি তদন্ত সুদ্বিপ রায়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে আবুল কালামের লাশ উদ্ধার করা হয়।ওইদিনই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী রেখা আক্তার ও ছেলে হাসানকে আটক করে পুলিশ।পরে হাসানের আরেক বন্ধুকেও আটক করা হয়।কালাম মধুগ্রামের মিদ্দা বাড়ির মৃত সামছুল হকের ছেলে।