শহর প্রতিনিধি: ভিশন অরবিট লিঃ ফেনীর চেয়ারম্যান ও বিতর্কিত জামায়াত নেতা আজিজুর রহমানের প্রতারনায় পড়ে অর্ধশতাধিক পরিবার নিঃস্ব হওয়ার পথে। গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাৎ ও চেক জালিয়াতীর ৫ মামলায় প্রতারক আজিজ ফেনী কারাগারে রয়েছে। সে সোনাগাজী উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের সফরপুর গ্রামের আব্দুল ওহাবের ছেলে।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, ভিশন অরবিট লিমিটেডের আওতাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য বিনিয়োগ ও হাওলাত হিসেবে প্রায় অর্ধ শতাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হবার পরেও গ্রাহকরা লাভের মুখ না দেখায় তাদের মূল টাকা ফেরত দেয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। এমতাবস্থায় দিবে দিচ্ছে বলে গ্রাহকদের সাথে কালক্ষেপন করে আজিজ। এক পর্যায়ে সে গা ডাকা দেয়। পরে নিরুপায় হয়ে আরিফ হায়দার নামের এক ভুক্তভোগী উকিল নোটিশ দিয়েও কোন সমাধান না পেয়ে আজিজুর রহমানকে আসামী করে ২০ মার্চ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলী আদালত ফেনী বরাবরে ৩৩ লাখ টাকার চেক প্রতারনা মামলা দায়ের করেন। পরেরদিন একই আদালতে প্রতারক আজিজকে আসামী করে ২০ লাখ ৫০ হাজার ও ২৭ মার্চ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমলী আদালত সোনাগাজী বরাবরে ৪০ লাখ টাকা প্রতারনা মামলা দায়ের করেন আরিফ হায়দার।
এসব মামলায় আজিজের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করলে ফেনী মডেল থানা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন। এরপর ফেনী কারাগারে ফেনী সি আর- ৫৮৬/১৭, ১৪১/১৮, ১০১/১৮ ও সি আর জোরারগঞ্জ ১০৩/১৭, ১২৫/১৭ প্রতারনা মামলায় কারাগারে রয়েছে প্রতারক আজিজ।
এদিকে আজিজের প্রতারনায় পড়ে ভুক্তভোগী আরিফ হায়দার ছাড়াও শাহ আলম, হাসান, ওহিদুজ্জামান, মিজানুর রহমান, দিলদার আহম্মদ, বেলায়েত হোসেন, জিলানী, জাফর আহম্মদ, সাইফুল ইসলাম, মাইনুল হক, সেলিম, আব্দুস সাত্তার ও ইসমাইল হোসেন ভুইয়াসহ অর্ধশতাশিক পরিবার নিঃস্ব হওয়ার পথে। এসব পরিবারেরে অর্জিত অর্থ প্রতারক আজিজের পেটে ডুকে পড়ায় অসহায় জীবন যাপন করছেন ভুক্তভোগীরা। কারাগারে থাকায় আজিজুর রহমানের বক্তব্য সংগ্রহ করা যায় নি।